এই ঘটনায় চক্ষু চড়ক গাছ খোদ আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের। পাশাপাশি এতগুলি ফাইল চুরি যাওয়ায় রীতিমতো চিন্তিত আইনজীবীরাও। কারণ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, যে সমস্ত ফাইলপত্র গুলি চুরি গিয়েছে, সেগুলি আদালতের বিভিন্ন মামলা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। ফলে এই বিপুল সংখ্যক নথিপত্র চুরি যাওয়ায় চিন্তার ভাঁজ আসানসোল ফার্স্ট মুন্সেফ কোর্টের। তাছাড়াও কেন আদালত থেকে বিপুল সংখ্যক নথিপত্র চুরি করা হল, সে বিষয়েও চিন্তিত আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট। পাশাপাশি এই ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা যুক্ত রয়েছে, তা জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত।
advertisement
আরও পড়ুন: কাদের খান-অরুণা ইরানির হাতে চড় খেয়েছিলেন শক্তি কাপুর, ভেবেছিলেন অভিনয় ছাড়বেন!
জানা গিয়েছে, আসানসোল আদালতের ফার্স্ট মুন্সেফ কোর্ট থেকে প্রায় তিনশোরও বেশী ফাইল চুরি গিয়েছে। যে ঘটনায় চাঞ্চল্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে আদালত চত্বরে। সূত্র মারফত খবর, রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোল কোর্ট চত্বরে ফার্স্ট মুন্সেফ কোর্টে। প্রত্যেক দিনের মতন আদালতে ফার্স্ট মুন্সেফ কোর্টে নিজের দফতরে পৌঁছন প্রেসকার অরূপ দাস। আর নিজের দফতরে ঢুকেই দরজা ভাঙা দেখে চোখ কপালে ওঠে অরূপ বাবুর।
আরও পড়ুন: শ্মশানে শবদেহ এলেই স্কুলে বাজে ছুটির ঘন্টা! অদ্ভুত নিয়ম গোঘাটে
এই ঘটনা দেখতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি তার কোর্টের ফার্স্ট মুন্সেফ নিবেদিতা নন্দীকে এই বিষয়টি জানান। তারপরেই সমস্ত ঘটনা তিনি জেলা ও দায়রা জজ বিজয়েশ ঘোষালকে অবগত করেন। পাশাপাশি খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। কি কারনে এই ঘটনা, তা বিশদ ভাবে জানতে তদন্তে নেমেছেন জেলা ও দায়রা জজ বিজয়েশ ঘোষাল, সিজেএম কোর্টের বিচারক তরুণ কুমার মন্ডল, ফার্স্ট মুন্সেফ সহ আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিনারেটের ডিসি সেন্ট্রাল এস এস কুলদীপ।
পাশাপাশি আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ আধিকারিকরা এই ঘটনার তদন্ত। কে বা কারা এই ঘটনায় যুক্ত রয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কারণ আদালত থেকে তথ্য সম্বলিত বিভিন্ন ফাইলপত্র চুরি গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কি কারনে এই ফাইলপত্র চুরি হল। কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, কেনই বা ফাইলপত্র চুরি করা হয়েছে, সমস্ত ঘটনা খতিয়ে দেখতে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকরা তদন্ত শুরু করেছেন।
নয়ন ঘোষ






