Hooghly News: শ্মশানে শবদেহ এলেই স্কুলে বাজে ছুটির ঘন্টা! অদ্ভুত নিয়ম গোঘাটে
- Published by:Raima Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
মৃতদেহ আসলেই স্কুলের ছুটির ঘন্টা পড়ে যায়। গত ১০০ বছর ধরে চলে আসছে এই অব্যবস্থা।
#হুগলি: মৃতদেহ এলেই ছুটির ঘন্টা পড়ে যায় স্কুলে। আসলে, স্কুলের পাশেই যে শ্মশান। গত ১০০ বছর ধরে চলে আসছে এই অব্যবস্থা। এমনই চিত্র দেখা যায় গোঘাটের পাতুলসাড়া এলাকায়। পাড়ায় কেউ মারা গেলে, জানিয়ে দেওয়া হয় স্কুলের শিক্ষকদের। স্কুলে ছুটি ঘোষণা করা হয়। অন্যথা মরা পোড়ার গন্ধে টেকা দায় হয়ে ওঠে পড়ুয়াদের।
জীবনমৃত্যুর এক কঠিন সত্যি জুড়ে আছে আমাদের জীবনে। জন্ম, বড় হওয়া, তারপর একদিন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়া। এক চিরন্তন সত্য, যার মুখোমুখি হতে ভয় পাই আমরা সবাই। কিন্তু প্রাথমিক স্কুলের খুদেদের প্রায়শই এমন চরম সত্যির মুখোমুখি হতে হয়। আসলে, স্কুলের পাশেই তো শশ্মান। ফলে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া ছাড়া কোনও উপায় থাকে না শিক্ষকদের।
advertisement
আরও পড়ুন: অনলাইনে বই কিনতে গিয়ে সর্বস্ব হারালেন শিক্ষক, অ্যাকাউন্টে পড়ে মাত্র ২ টাকা!
মৃতদেহ সৎকারের জন্য এলেই ছুটি দিতে হয়ে যায় স্কুলে। ৩০ থেকে ৪০ টি পরিবার দাহকার্য করে এই শ্মশানে। পরিস্থিতি কখনও এমনও হয় যে, ৪ দিন ছুটি দিতে হয় স্কুলে। স্কুলের পাশে যে শ্মশান রয়েছে সেটি কোনও স্থায়ী শ্মশান নয়। ফাঁকা মাঠের উপরেই শবদাহ করা হয়। নেই কোনও চিমনির ব্যবস্থাও। যার ফলে মৃতদেহ পোড়ার গন্ধ ছোট ছোট পড়ুয়াদের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে ফেলে দেয়। একইসঙ্গে মৃতদেহ পোড়ার ভয়াবহ দৃশ্য বাচ্চাদের আতঙ্কিত করে রাখে।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন: সব শেষ! অবৈধ নিয়োগের ভাইরাল তালিকায় নাম, লজ্জায় আত্মঘাতী চণ্ডীপুরের শিক্ষিকা!
এমন পরিস্থিতির জেরে অভিভাবকরাও ভয়ে স্কুলে পাঠাতে চান না সন্তানদের। চোখের সামনে এ ভাবে চিতায় মরদেহ জ্বলছে, এ দৃশ্য কচি মনে খুবই খারাপ প্রভাব ফেলে। অনেকেই বলে, 'মা যদি ভূতে ধরে, স্কুলে যাব না'। এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জানান, 'প্রায় বিগত কয়েক বছর ধরেই একই ভাবে চলে আসছে। যখনই শবদেহ আসে তখনই বাচ্চারা ভয় পায়। তারপরেই স্কুল ছুটি দেওয়া হয়।' এ বিষয়ে কুমুড়সা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান জানান, 'বিষয়টি অনেকদিন থেকেই নজরে আছে। জিনিসটা সত্যিই খুব খারাপ লাগে। আমরা বিডিও-সহ প্রশাসনকে জানিয়েছি। দ্রুত সমস্যা মিটবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
advertisement
রাহী হালদার
view commentsLocation :
First Published :
December 05, 2022 5:10 PM IST