West Midnapore News: সব শেষ! অবৈধ নিয়োগের ভাইরাল তালিকায় নাম, লজ্জায় আত্মঘাতী চণ্ডীপুরের শিক্ষিকা!
Last Updated:
নন্দীগ্রামের একটি স্কুলের শিক্ষিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল ভাড়াবাড়ি থেকে। জানা যায়, ওই শিক্ষিকা ২০১৯ সালে নিয়োগ হয়েছিলেন।
#নন্দীগ্রাম: নন্দীগ্রামের একটি স্কুলের শিক্ষিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল ভাড়াবাড়ি থেকে। জানা যায়, ওই শিক্ষিকা ২০১৯ সালে নিয়োগ হয়েছিলেন। সম্প্রতি রাজ্যজুড়ে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে স্কুল সার্ভিস কমিশনে অবৈধ শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ নিয়ে। অবৈধ শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ নিয়ে তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছে হাইকোর্ট। ইতিমধ্যে কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। অন্যদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি তালিকা ভাইরাল হয়েছে। আর ওই তালিকায় শিক্ষিকা টুম্পারানি মন্ডলের নাম থাকায় মানসিক অবসাদ তিনি ভেঙে পড়েন। ভাড়া বাড়িতে আত্মহত্যা করেন।
নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলা চলছে হাইকোর্টে। তার প্রেক্ষিতে শিক্ষকদের একটি নামের তালিকা সমাজমাধ্যমে ভাইরালও হয়েছে। সেই তালিকায় নাম থাকা এক শিক্ষিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল রবিবার। টুম্পারানি মণ্ডল পড়ুয়া (৩০) নন্দীগ্রামের দেবীপুর মিলন বিদ্যাপীঠের বাংলার শিক্ষিকা ছিলেন। রবিবার সন্ধ্যায় চণ্ডীপুর থানার সরিপুর গ্রামের ভাড়াবাড়ি থেকে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
advertisement
আরও পড়ুন: বেড়েই চলেছে ডিমের দাম, কিন্তু কেন? কারণ শুনলে মাথায় হাত দিতে হবে!
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে নবম-দশম শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগে টুম্পারানি চাকরি পেয়েছিলেন। ২০১৯ সালে নন্দীগ্রামের ওই হাইস্কুলে তিনি শিক্ষিকা পদে যোগ দেন। টুম্পারানির এক আত্মীয় চণ্ডীপুর থানার সিভিক ভলান্টিয়ার। তিনি জানান, নবম-দশমের স্কুল শিক্ষকদের তথ্য যাচাই সংক্রান্ত একটি তালিকা কয়েক দিন আগে সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেই তালিকায় টুম্পারানির নাম ছিল। তার জেরে তিনি মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। শনিবার স্কুলেও যাননি। তারপর রবিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন: অভিষেক vs শুভেন্দু: ফুটেজ খেতে আমার নাম, দাবি অভিষেকের! পাল্টা 'নাবালক' কটাক্ষ শুভেন্দুর
টুম্পারানির বাপের বাড়ি চণ্ডীপুর থানার বুরুন্দা গ্রামে। ২০১৪ সালে ডিহি কাশিমপুর গ্রামের সুবীর পড়ুয়ার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। ওই দম্পতি চণ্ডীপুর বাজার সংলগ্ন সরিপুর গ্রামের ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। শনিবার বিকেলে সুবীর চণ্ডীপুর বাজারে চা খেতে গিয়েছিলেন। টুম্পারানি বাড়িতে একাই ছিলেন। সন্ধ্যায় সুবীর বাড়ি ফিরে ডাকাডাকি করেও স্ত্রীর সাড়া পাননি। পরে ঘরের মধ্যে তাঁর দেহ ঝুলতে দেখা যায়। চণ্ডীপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
advertisement
সৈকত শী
view commentsLocation :
First Published :
December 05, 2022 2:19 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/পূর্ব মেদিনীপুর/
West Midnapore News: সব শেষ! অবৈধ নিয়োগের ভাইরাল তালিকায় নাম, লজ্জায় আত্মঘাতী চণ্ডীপুরের শিক্ষিকা!