আসলে কী হয়েছিল? জানা গিয়েছে দুর্গাপুর পুরসভার যেটি মেয়রের চেম্বার, যেখানে বর্তমানে পুর প্রশাসক বসেন, সেই চেম্বারের বাস্তুশাস্ত্র বিচার করানো হবে। তার জন্য দরপত্র চাওয়া হয়েছিল। জনৈক অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি ৩০ হাজার টাকায় সেই টেন্ডার পেয়ে যান বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। এরপরেই দুর্গাপুরের রাজনৈতিক মহলে ওঠে সমালোচনার ঝড়। বিষয়টি জানতে পেরে বিজেপি নেতা চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘ প্রশাসক তার চেম্বার এর বাস্তুশাস্ত্র বিচার করাতেই পারেন। কিন্তু দুর্গাপুর পুরসভা চলে জনগণের করের টাকায়। তাই সেই টাকা এর জন্য খরচ করা একেবারেই নীতিবিরুদ্ধ বলে তিনি দাবি করেছেন।’’ অন্যদিকে, পুরসভার মেয়াদ অনেক দিন আগে শেষ হয়েছে। প্রশাসক বসিয়ে পুরসভা চলছে। পুরসভাকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত করতে দ্রুত নির্বাচনের দাবি তুলেছেন তিনি।
advertisement
অন্যদিকে টেন্ডার প্রসঙ্গে পুর প্রশাসক অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি নিজের কার্যালয়ের বাস্তুশাস্ত্র বিচার করাতে চান। তবে তার জন্য তিনি নিজেই খরচ করবেন। যেহেতু মেয়রের চেম্বারের বাস্তুশাস্ত্র বিচার করানো হবে, তাই ভুল বোঝাবুঝির জেরে টেন্ডার ডেকেছিলেন পুরসভার আধিকারিকরা। তবে ঘটনাটি জানতে পেরে তিনি সঙ্গে সঙ্গে টেন্ডার বাতিল করে দিয়েছেন। তিনি বাস্তুশাস্ত্র নিজের খরচে বিচার করাতে চান। নিছক ভুল বোঝাবুঝির জেরে এমন ঘটনা বলে জানিয়েছেন তিনি।