ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে অজয় নদীতেও বিপদ সীমার উপর দিয়ে জল বইছে। সব মিলিয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। যার ফলে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন নদী তীরবর্তী এলাকার গ্রামের মানুষজন। স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে মাইকিং শুরু হয়েছে। নদীর ধারে যেতে বারণ করা হচ্ছে। বারণ করা হচ্ছে নৌকা নিয়ে যেতে।
advertisement
আরও পড়ুন: ৫০ বছরেও পেলেন না মূল্য, আজও লড়াই করছেন প্রবীণ পট-শিল্পী
প্রসঙ্গত, ঝাড়খন্ডে অতিবৃষ্টির কারণে মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে গত সোমবারই এক লক্ষ কিউসেকের বেশি জল ছাড়া হয়েছে। সোমবারের হিসেব অনুযায়ী দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকেও ৬০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। জল ছাড়ার পরিমাণ ধাপে ধাপে আরও বাড়ছে। ফলে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান সহ বাঁকুড়ার পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতেও।
অন্যদিকে, পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার বিভিন্ন এলাকার অজয় নদীর তীরবর্তী স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশাসন ও পঞ্চায়েতের তরফ থেকে মাইকিং করে সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছে। দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের বগুলা পঞ্চায়েত ও দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক দফতরের উদ্যোগে মাইকিং করা হচ্ছে। মানুষকে নদীর তীরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। পাঞ্চেৎ ও মাইথন থেকে প্রচুর পরিমাণে জল ছাড়া হচ্ছে। সে কারণে প্লাবিত হতে পারে অজয় নদী ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা। তাই এই মুহূর্তে নদীতে নৌকা নিয়ে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
এই বিষয়ে দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের গোগলা অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি গৌতম ঘোষ বলেছেন, ব্লক প্রশাসন এবং পঞ্চায়েতের তরফ থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নদীর তীরবর্তী এলাকায় সাধারণ মানুষকে যেতে বারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসন তৎপর রয়েছে। কোনরকম সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তৈরি রয়েছে প্রশাসনের বিশেষ টিম।
নয়ন ঘোষ