TRENDING:

Teachers' Day: অবসর নিয়েছে, দৃষ্টিশক্তিও হারিয়েছেন, তবু এখনও করছেন শিক্ষকতা

Last Updated:

West Burdwan News : অবসরের পরেও তিনি নিয়মিত স্কুলে যেতেন পড়ুয়াদের সঙ্গ পেতে। তাদের পড়াতেন। এরপর ২০১০ সালে হঠাৎ করেই নিজের দৃষ্টিশক্তি সম্পূর্ণভাবে হারিয়ে ফেলেন এই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। কিন্তু তাতেও দমে যাননি তিনি। 

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কাঁকসা, #পশ্চিম বর্ধমান : কথায় আছে ঢেঁকি স্বর্গে গিয়েও ধান ভানে, এই বিশেষণ মূলত ব্যবহার করা হয় তেমন মানুষদের জন্য, যারা অবসর নেন না কোনদিনই। যারা জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত নিজের দায়িত্ব কর্তব্যে অবিচল থাকেন। তেমনই এক মানুষের বসবাস পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসায়। শিক্ষক দিবসের দিনে যিনি শিক্ষকতার এক আদর্শ উদাহরণ।
advertisement

দেড় দশকের বেশি সময় আগে তিনি অবসর গ্রহণ করেছেন। কিন্তু বাড়িতে মন বসাতে পারেন নি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক রবিলাল গড়াই। তাই অবসরের পরেও তিনি নিয়মিত স্কুলে যেতেন পড়ুয়াদের সঙ্গ পেতে। তাদের পড়াতে। এরপর ২০১০ সালে হঠাৎ করেই নিজের দৃষ্টিশক্তি সম্পূর্ণভাবে হারিয়ে ফেলেন এই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। কিন্তু তাতেও দমে যাননি তিনি। দৃষ্টি শক্তি হারিয়েও এক দশকের বেশি সময় ধরে তিনি ছেলে পড়ানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন নিরন্তর।

advertisement

আরও পড়ুন Bankura news : যাত্রীবাহী বাসে হঠাৎ আগুন! প্রাণ বাঁচাতে বাস থেকে নেমে দৌড় বাস-যাত্রীদের

উল্লেখ্য, রবিলাল গড়াই অবসর গ্রহণ করেছেন ২০০৬সালে। কিন্তু অবসর গ্রহণ করার পরেও বাড়িতে বসে বসে থাকেননি তিনি। নিয়মিত সময় করে বিদ্যালয়ে আসেন তিনি। আবার ছুটির পরে বিদ্যালয়ে শিক্ষাদানের পরে বাড়ি ফিরে যাওয়ার একই ধারা বজায় রয়েছে আজও। কাঁকসার বিষ্ণুপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক রবিলাল গড়াই। বিদ্যালয়ে যোগদান করেছিলেন ১৯৭৭ সালে। এই বিদ্যালয়েই দীর্ঘ২৯ বছর শিক্ষকতা করেছেন তিনি। তারপর অবসর গ্রহণ করেন ২০০৬সালে।

advertisement

View More

আরও পড়ুন বাড়বে কি চালের দাম? বৃষ্টি কম, রাজ্যে ফলন কম ধানের

কিন্তু অবসরের পরেও- মন পরে থাকতো বিদ্যালয়ে। তাই অবসর গ্রহণের পরেও তিনি বাড়িতে না বসে থেকে বিদ্যালয়ে নিয়মিত গিয়ে সেখানে ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষাদান করতে শুরু করেন। তবে রবিলাল বাবুর বিদ্যালয়ে আসার জন্য বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা বা অভিভাবক, কারোরই কোনও সমস্যা হয় নি। বরং রবিলাল বাবুর বিদ্যালয়ে আসার ফলে খুশি হন বিদ্যালয়ের সহ কর্মীরা ও ছাত্র ছাত্রীরা। এরপর হটাৎ করে ২০১০ সাল থেকে তিনি চোখের দৃষ্টি শক্তি হারিয়ে ফেলেন। তবে স্কুলের পাশেই একই গ্রামে বাড়ি হওয়ায় সমস্যাকে তুচ্ছ করে বাড়ির সদস্যরা তার হাত ধরে স্কুলে নিয়মিত হাজির হওয়ার দ্বারা এখনও বজায় রেখেছেন তিনি। শিক্ষিক দিবসের দিনে তাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সহ এলাকার মানুষ।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
নবাবের শহর থেকে রাজধানীর পথে মুর্শিদাবাদের রুদ্রাক্ষী, স্বপ্নকে আঁকড়ে ধরে জীবনযুদ্ধে জয়
আরও দেখুন

Nayan Ghosh

বাংলা খবর/ খবর/পশ্চিম বর্ধমান/
Teachers' Day: অবসর নিয়েছে, দৃষ্টিশক্তিও হারিয়েছেন, তবু এখনও করছেন শিক্ষকতা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল