উল্লেখ্য, দুর্গাপুর শহরের সিটি সেন্টার ঢোকার মুখে জাতীয় সড়কের পাশে বিশাল একটি এলাকা ফাঁকা অবস্থায় পড়েছিল। ওই জায়গায় অর্গানিক গার্ডেন তৈরির পরিকল্পনা ছিল। তবে তা আর বাস্তবায়ন হয়নি। উল্টোদিকে ওই জায়গাটি ধীরে ধীরে স্থানীয় এলাকার বস্তির গবাদি পশু গুলির খামারে পরিণত হচ্ছিল। ফলে ওই জায়গায় বাড়ছিল আবর্জনা, দুর্গন্ধ। অথচ তার একেবারে বিপরীত দিকে তৈরি হয়েছে দুর্গাপুর সার্কিট হাউস। যেখানে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাত্রি বাস করেছেন।
advertisement
আরও পড়ুন ঃ ধেয়ে আসে অশালীন ইঙ্গিত, রাতভর মদ্যপদের উৎপাত! প্রতিবাদে এ কী করলেন প্রমীলা বাহিনী
স্বাভাবিকভাবে ওই জায়গাটা যেমন স্থানীয় মানুষজনের পক্ষ থেকে পরিষ্কার করার দাবি উঠেছিল, তেমনভাবেই প্রশাসনিক মহলেও তার প্রয়োজনীয়তা উঠে এসেছিল। তারপরে এই উদ্যোগ। আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের উদ্যোগে এই জায়গাটি পরিষ্কার করে নগরবন তৈরির পরিকল্পনা করা হয়। যেখানে তৈরি করা হচ্ছে পার্ক। লাগানো হচ্ছে নানা ধরনের গাছ। এই জায়গাটি যেমন শহরের মানুষজন প্রাতভ্রমণের জন্য ব্যবহার করতে পারবেন, তেমনভাবেই বৈকালিক অবসর কাটানোর জন্য ব্যবহার করা যাবে।
তাছাড়াও থাকবে ছোট শিশুদের খেলাধুলা করার ব্যবস্থা। একইসঙ্গে ওই জায়গায় বিভিন্ন কৃত্রিম জলাশয় তৈরি করা হচ্ছে। বড় ছোট মিলিয়ে নানা প্রজাতির গাছ থাকবে সেখানে। যার মধ্যে থাকবে ভেষজ গুণসম্পন্ন বেশ কিছু উদ্ভিদও। অন্যদিকে শহরে বাড়বে সবুজের পরিমাণ। এই জায়গায় গেলে পাওয়া যাবে সতেজ অক্সিজেন। সবমিলিয়ে এই নগরবন দুর্গাপুর শহরের কাছে এক বড় উপহার হতে চলেছে।
Nayan Ghosh