মৃৎশিল্পীরা বলছেন আগে প্রতিমা তৈরিতে ব্যবহার করা হত ঘাম তেল। এই তেল ব্যবহার করার ফলে প্রতিমার উপর যখন আলো পড়ে, সেই প্রতিমা অনেক উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। কিন্তু এই ঘাম তেল ব্যবহার করার আগে রং করতে হয়। সেই রং শুকিয়ে গেলে প্রতিমার সাজসজ্জা দেওয়া হয়। তারপর সবশেষে দেওয়া হত ঘাম তেল।
advertisement
আরও পড়ুন: তুলসিই রক্ষাকর্তা! কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় এই ৫ কাজ করুন, দুঃখ-অশান্তি ছুঁতে পারবে না
কিন্তু এখন প্রতিমার চাহিদা বেড়েছে। অন্যদিকে প্রায়শই আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় মূর্তি শুকনো করতে গিয়ে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। তাই বর্তমানে বিশেষ ধরনের এই রং ব্যবহার করা হচ্ছে। যার ফলে রং করলে ঘাম তেলের কাজ হয়ে যাচ্ছে। তাতে খরচ ও সময় দুই কম লাগছে। এই বিষয়ে মৃৎশিল্পী প্রদীপ পাল জানিয়েছেন, এখন মূর্তি তৈরি করতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মেটালিক রং ব্যবহার করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কচি হাতেই তৈরি হচ্ছে কেদারনাথ মন্দিরের আদলে প্যাণ্ডেল! লক্ষ্মী পুজোর আয়োজনে মহাব্যস্ত খুদেরা
এই রং অনেক সময় বাড়ি সাজানোর ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয়। তাতে বাড়ির দেওয়ালগুলি উজ্জ্বল মনে হয়। সেই রং এখন প্রতিমা তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে রঙ শুকনো হয়ে গেলে আর ঘাম তেল দেওয়ার প্রয়োজন পড়ছে না। রোদ অথবা আলো পেলেই ওই প্রতিমা উজ্জ্বল দেখাচ্ছে অনেক বেশি। তাই এই নতুন মেটালিক রঙের চাহিদা বাজারে ধীরে ধীরে বাড়ছে। তবে দুর্গা মূর্তি বা কালীমূর্তির ক্ষেত্রে এখনও ঘাম তেল ব্যবহার করতে হয়।
নয়ন ঘোষ