আরও পড়ুন: কী কাণ্ড! কপিল মুনির আশ্রম দর্শন না হওয়ায় বৃদ্ধা যা করলেন, চক্ষু চড়কগাছ সকলের
যদিও এই ঘটনার পর থেকে দু’জন লটারি বিক্রেতা পলাতক বলে অভিযোগ। যার মধ্যে এক লটারি বিক্রেতার বাবাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। পলাতক দুই লটারি বিক্রেতার নাম বিপদ গুড়ালা এবং মিন্টু মুদি। তারা দু’জনেই লটারি বিক্রির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। উজ্জ্বল বাবুর অভিযোগ, এই দু’জনেই লটারি জয়ের প্রাপ্য টাকা তাকে দেননি। তার জেতা লটারি টিকিটটি তারা নিয়ে নিয়েছেন। তারপরেই লটারি জয়ের টাকা না পাওয়ার হতাশা এবং টাকা চাইতে গিয়ে তাদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকে, আত্মঘাতী হয়েছেন উজ্জ্বল লায়েক, এমনই অভিযোগ।
advertisement
গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার আগে দু’পাতার একটি সুইসাইড নোট লিখেছেন উজ্জ্বল বাবু। সেখানে তিনি লিখেছেন, তিনি একটি মর্নিং ঝাড়খন্ড লটারি কেটেছিলেন। কিন্তু লটারি বিক্রেতা তাকে ফোন করে বলেন, সেই লটারিতে তিনি ৪০০ টাকা পেয়েছেন। তিনি পাটমোহোন বাজার থেকে এই লটারি কেটেছিলেন। কিন্তু পরে তিনি অপর এক পরিচিতর কাছ থেকে জানতে পারেন, তিনি লটারিতে এক লাখ আশি হাজার টাকা পেয়েছেন। এরপরেই তিনি আবার ওই লটারি বিক্রেতাকে ফোন করেন। তখন লটারি বিক্রেতা বিপদ গুরালা জানান, তার সঙ্গে মজা করা হয়েছিল। পরে বিকেলে গিয়ে টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয় উজ্জ্বলবাবুকে৷
আরও পড়ুন: পেটের চর্বি ঝরাতে নাভিঃশ্বাস? এই ব্যায়াম না করলে কোনও লাভ নেই, জানুন
কিন্তু নানা অছিলায় সেই টাকা আর উজ্জ্বল বাবুকে দেওয়া হয়নি। পরে লটারি বিক্রেতা উজ্জ্বল বাবুকে জানান, টিকিটটি তার নয়। লটারি বিক্রেতা নিজে সেই টিকিট কিনেছেন। ফলে টাকা দেওয়া যাবে না। এরপর সুইসাইড নোটে উজ্জ্বল বাবু আরও লিখেছেন, এই টাকা তার কাছে বড় নয়। তবে তার সঙ্গে যে জালিয়াতি করা হয়েছে, তা তিনি মেনে নিতে পারছেন না। পাশাপাশি তিনি আরও লিখেছেন, তিনি এই টাকা চাইতে গিয়ে বড় ঝামেলায় জড়িয়ে পড়তে পারেন। আর সেজন্যই এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এই ঘটনার পর থেকেই রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে হিরাপুরের পাটমোহন বাজার এলাকায়। উজ্জ্বল বাবুর বাড়িতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। পাশাপাশি জালিয়াত দুই লটারি বিক্রেতার শাস্তির দাবিও তুলছেন অনেকে। তবে দুই অভিযুক্ত লটারি বিক্রেতার এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। দুই অভিযুক্তর পরিচিতদের কাছ থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দু’জনের হদিস পেতে চাইছে পুলিশ।
Nayan Ghosh