বর্ষার এই সময়ে পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি জেলায় প্রচুর পরিমাণে ধানের চাষ হয়। তাছাড়াও এলাকাভিত্তিক বেশ কিছু জায়গা অন্যান্য ফসল চাষ করা হয়। কিন্তু পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হলে কৃষি কার্যের ক্ষতি হয় ব্যাপকভাবে। অতিবৃষ্টি হলে যেমন কৃষকরা সমস্যায় পড়েন, তেমনভাবেই বৃষ্টিপাত কম হলেও ফসল ভালো হয় না। স্বাভাবিকভাবেই কৃষি কাজের জন্য জল দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন কৃষকরা। কৃষি বিভাগের কর্তাসহ, বিডিও এবং জেলা পরিষদের কাছে আবেদন জমা করছিল। সেই আবেদনগুলির ভিত্তিতেই পাঁচটি জেলাকে জল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই মর্মে সম্প্রতি বর্ধমানের ডিভিসি বাংলোয় একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানে ডিভিসি কর্তৃপক্ষ ছাড়াও রাজ্যের সেচ দফতরের আধিকারিক এবং জেলার কৃষি কর্মাধ্যক্ষ এবং কৃষি আধিকারিকরা অংশগ্রহণ করেছিলেন। সেই বৈঠকে জল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন - দুর্গাপুরে জোর দৌড়াদৌড়ি, ড্রেনের জলে হুড়মুড়িয়ে ভেসে আসছে ৫০০ টাকার নোট, তারপর
জানা গিয়েছে, আগামী ২২ জুলাই থেকে সাত দিনের জন্য দামোদরের বাঁধগুলি থেকে জল ছাড়া হবে কৃষিকাজের জন্য। মূলত দুর্গাপুর ব্যারেজ ছাড়াও রণডিহা ব্যারেজ থেকে কৃষি কাজের জন্য জল ছাড়বে সেচ দফতর। সেই কাজে সহযোগিতার জন্য মাইথন এবং পাঞ্চেত ড্যাম থেকেও জল ছাড়া হবে। যদিও অন্যান্য বছরে ১৪ দিনের জন্য জল দেওয়া হয়। তবে চলতি বছরে বৃষ্টিপাত কম হওয়া এবং অতিরিক্ত গরমের জন্য জলাধার গুলিতে মজুত জলের পরিমাণ অর্থাৎ ওয়াটার লেভেল কম রয়েছে। সেজন্যই চলতি বছরে ১৪ দিনের পরিবর্তে ৭ দিন জল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা আপাততভাবে কৃষকদের বেশ খানিকটা সাহায্য করবে কৃষিকাজের জন্য, এমনটাই মনে করছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা।
Nayan Ghosh