স্থানীয়রা প্রথমে বানরটিকে জখম অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। প্রথমে তারা বুঝতে পারেন নি বানরটির ঠিক কী হয়েছে। তারপর দেখতে পান বানরটির একটি পায়ে গভীর চোট রয়েছে। তখনই বানরটিকে উদ্ধারের জন্য বন দফতরের কাছে খবর দেওয়া হয়। তারপর লাউদোহা বিভাগের বন দফতরের কর্মীরা এসে বানরটিকে উদ্ধার করেন। বানরটিকে উদ্ধার করার পর দুর্গাপুরের পশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বনদফতরের কর্মীরা বানরটিকে খাঁচা বন্দী করে দুর্গাপুরের পশু হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন। আপাতত সেখানেই ওই জখম বানরটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
advertisement
এই বিষয়ে বন বিভাগের এক কর্মী মহাদেব মাঝি জানিয়েছেন, বানরটি গুরুতরভাবে জখম হয়েছে। বানরটির একটি পায়ে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। পা-টি গুরুতরভাবে ভেঙে গিয়েছে। তাই বানরটিকে উদ্ধার করে দুর্গাপুরের পশু হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। আপাতত পশু হাসপাতালের চিকিৎসকদের নজরদারিতে থাকবে বানরটি। চিকিৎসার পর বানরটিকে বনদফতরের তত্ত্বাবধানে রাখা হবে। তারপর বানরটি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে গেলে, তাকে ওই জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে। এই ঘটনায় স্থানীয় পশুপ্রেমীরা বনদফতরের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তারা বলছেন, যদি প্রতিটি প্রাণীর ক্ষেত্রে মানুষ এইভাবে পাশে দাঁড়ায়, তাহলে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকবে। অবলা জীব জন্তুদের সঙ্গে মানুষের একটি অদৃশ্য সম্পর্ক তৈরি হবে। যা সমাজের কাছে মানবিকতার নজির তৈরি করবে।
Nayan Ghosh