আরও পড়ুন: খাগর গাছের ছাল, কাঠের ভুষি দিয়ে ধূপকাঠি বানিয়ে বাজিমাৎ
টানা বৃষ্টিতে দামোদর এবং বরাকর নদীতে বেড়েছে জলস্তর। দামোদরের উপর অবস্থিত জলাশয়গুলিতে হু হু করে জল ঢুকছে। ফলে জলাধারের সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতা পেরিয়ে যাওয়ার মুখে। এই পরিস্থিতিতে বাঁধ বাচাতে জল ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। সোমবারের পর মঙ্গলবারও মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধার থেকে জল ছেড়েছে ডিভিসি। একই কারণে ব্যাপক পরিমাণে জল ছাড়তে হচ্ছে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকেও।
advertisement
এদিন মাইথন থেকে কম জল ছাড়া হলেও জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়িয়েছে পাঞ্চেত। মঙ্গলবার ৭৫ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে পাঞ্চেত জলাধার। মাইথন পরিমাণ কমিয়ে এদিন ৩৫ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে। যার ফলে প্রচুর জল এসে ঢুকেছে দুর্গাপুর ব্যারেজে। সেচ দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ৬০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছিল সোমবার। কিন্তু মঙ্গলবার প্রচুর পরিমাণে জল দুর্গাপুর ব্যারেজের জলাধারে এসে ঢোকে। যে কারণে বাধ্য হয়ে প্রায় দ্বিগুণ জল ছাড়তে হয়েছে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত, মঙ্গলবার দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ১ লক্ষ ২৮ হাজার ৯২৫ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে।
বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কে ভুগছে আমজনতা। বন্যার আশঙ্কা তীব্র হয়েছে। দুই বর্ধমান ছাড়াও বাঁকুড়া, হাওড়া, হুগলির বিস্তীর্ণ জায়গা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই কিছু কিছু জায়গায় জল ঢুকতে শুরু করেছে। এদিকে ব্যারেজগুলি সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃষ্টিপাত না থামলে বুধবারও জল ছাড়তে হতে পারে।
নয়ন ঘোষ