পশ্চিম বর্ধমান জেলার সালানপুর ব্লক এলাকায় বেশ কিছু জমি ফাঁকা পড়েছিল। ওই জমি গুলিতে জলের অভাবে কৃষি কাজ করতে সমস্যায় পড়তে হত কৃষকদের। এমনকি সেখানে ভাব সাবমারসিবল পাম্পও কাজ করত না।
আরও পড়ুন: ৪০ হাজারের চাকরি ছেড়ে কুলের চাষ করে লক্ষাধিক টাকা লাভ করছেন মধ্যপ্রদেশের যুবক!
আর তারপরেই বিশেষ চিন্তাভাবনা শুরু করে কৃষি দফতর। পরিকল্পনা করা হয়, এমন কিছু চাষ করা হবে, যেখানে জলের প্রয়োজন কম পড়বে। আবার কৃষকরাও লাভবান হবেন। সেই মতো শুরু হয় রঙিন ফুলকপির চাষ। আর সেই রঙিন ফুলকপি চাষ করেই লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছেন কৃষকরা। প্রসঙ্গত,সালানপুর ব্লক এলাকায় বিস্তীর্ন ধান জমি রয়েছে। কিন্তু সমস্যা ওই এলাকায় নদী বা ক্যানেল কিছু নেই। অন্য জলস্তর অনেক নিচে চলে যাওয়ায় সাবমার্সিবল পাম্পও কাজ করে না। ফলে চাষের জন্য সেই বর্ষার উপরেই নির্ভর করে থাকতে হয়। সেই বর্ষার জলে বছরে একবার ফসল হত ধানের। তাতেই চাষিদের খুড়িয়ে সংসার চালাতে হত। কিন্তু চলতি আর্থিক বছরে বৃষ্টিপাতের পরিমান একেবারেই কম। আর তাই ধানচাষ করতে গিয়েও ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা।
advertisement
আরও পড়ুন: শিয়রে শমন! মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করে থাকলে এখনই সেরে রাখুন এই কাজ!
এরপরেই কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে কৃষকদের বিকল্প চাষের তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। চাষিদের উদ্যান পালনে উৎসাহী করে রঙিং ফুলকফি চাষে নিয়ে আসা হয়েছে। অল্প অল্প জমিতে চাষিরা এই চাষ করতে শুরু করেন। জমির পরিমান কম থাকায় জলও কম লাগে। এলাকার পুকুর থেকেই এই জল সংগ্রহ করে উদ্যান পালনে লাভের মুখ দেখেছে চাষিরা। বেগুনী ফুলকফি, হলুদ ফুলকফি চাষ আকর্ষনীয় হয়ে উঠেছে সেখানে। এই রঙীন ফুলকফির চাষ করে বিকল্প রোজগারের পথ খুঁজে পেয়েছেন কৃষকরা।
সালানপুর ব্লকের সহকারী কৃষি অধিকর্তা রাজর্ষী বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সালানপুরে এমনিতেই বর্ষার জলের উপর নির্ভর করে থাকতে হয় চাষীদের। যেহেতু এ বছর অন্যান্য বছরে তুলনায় বর্ষার জল তেমন হয়নি, সেই কারণে কৃষকরা ধান চাষের ক্ষেত্রে ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন। তাই এই বিকল্প ভাবনা আমরা ভেবেছিলাম। তারা অল্প অল্প জায়গায় এই চাষ করতে পেরেছেন। ক্যারোটিনা, ভ্যালেন্টিনা প্রজাতির ফুলকফি চাষে উৎসাহী হয়েছেন তারা। বাজারে এই ফুলকফি ৩০ টাকা দামেও বিকোচ্ছে। ফলে আর্থিক ভাবে উন্নতি হয়েছে কৃষকদের।
Nayan Ghosh