জানা গিয়েছে দুষ্কৃতীরাই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে। এতে যে পরিবেশের ক্ষতি হল তা বলাই বাহুল্য। পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের যে বিপুল ক্ষতি হল তা এখন পূরণ করাটাই মস্ত বড় চ্যালেঞ্জ বন বিভাগের কাছে। দুষ্কৃতীদের লাগানো এই আগুনে নষ্ট হয়েছে প্রায় চার হাজার গাছ! সেইসঙ্গে জঙ্গলে বসবাসকারী বিভিন্ন জীবজন্তুর প্রাণ গিয়েছে বিধ্বংসী আগুনে। আগুনের জেরে এলাকায় তাপমাত্রা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে, সেখানে কাজ করতে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছিল দমকল কর্মীদের। প্রায় ঘণ্টা তিনেকের প্রচেষ্টায় সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে। যার ফলে ১৫ হেক্টর এলাকার কিছুটা অংশ অন্তত বাঁচানো সম্ভব হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে বোমার নাগাল থেকে রেহাই পাচ্ছে না বাড়ির মহিলা ও শিশুরাও! ভয়ঙ্কর ঘটনা জেলায়
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে রথযাত্রার দিন পানুরিয়া এলাকায় ১৫ হেক্টর জমিতে সবুজায়নের লক্ষ্যে বৃক্ষরোপণ করেছিলেন বন দফতরের কর্মী এবং আধিকারিকরা। ওই এলাকায় কয়লা উত্তোলন ও শিল্পায়নের জন্য যেভাবে গাছ কাটা হচ্ছে সেই ক্ষতি পূরণ করতেই একটি সবুজক্ষেত্র গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত ১৮ মাস ধরে গাছগুলির পরিচর্যা করে সেগুলোকে বড় করে তোলেন বন দফতরের কর্মীরা। ধীরে ধীরে এলাকাটি ঘন জঙ্গলের আকার নেয়। যা এলাকায় পরিবেশের জন্য একটা ইতিবাচক বার্তা ছিল। তবে দুষ্কৃতীদের জন্য সব পরিশ্রম বিফলে গেল বন কর্মীদের। এদিন আগুন লাগে ওই গড়ে তোলা ওই জঙ্গলে। হাওয়ার গতিবেগ থাকায় আগুন নিমেষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। বন দফতরের কর্মীরা খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে আগুন নেভানোর জন্য উদ্যোগ নেন। আসে দমকলের কয়েকটি ইঞ্জিন। তবে সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় তিন ঘণ্টা সময় লেগে যায়। তার মধ্যে পুড়ে গিয়েছে প্রায় চার হাজার গাছ। নষ্ট হয়েছে বহু বন্যপ্রাণ। যা রীতিমত চিন্তায় ফেলেছে বন কর্মীদের। ভেঙে পড়লেও তাঁরা অবশ্য হাল ছাড়তে রাজি নয়। ফের আবার একই জায়গায় সবুজক্ষেত্র গড়ে তোলার সমকল্প নিয়েছেন বন কর্মীরা। সেইসঙ্গে কারা এই অগ্নিকাণ্ডের পিছনে মূল দায়ী তাদের খুঁজে বের করতে শুরু হয়েছে তদন্ত।
নয়ন ঘোষ