বাবা সমীর মুখোপাধ্যায় তৃণমূলের জেলা শ্রমিক সংগঠনের নেতা। তিনিও রীতিমত বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ। বলেছেন, সরকারের সমস্ত পদ্ধতি মেনে হয়েছিল নিয়োগ। তাই সরকারের এই ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ করা উচিত।
অর্ণব দুর্গাপুরের বেনাচিতির বাসিন্দা। থাকেন বেনাচিতির রুপালি অ্যাপার্টমেন্টে। ২০১৮ সালে যোগ দিয়েছিলেন স্কুলের চাকরিতে। তার প্রথম পোস্টিং ছিল দুর্গাপুর প্রজেক্ট টাউনশিপ হাই স্কুলে। হাই স্কুলের ক্লার্কের চাকরি করতেন তিনি। কিন্তু আদালতের নির্দেশে গ্রুপ সি'র সেই চাকরি গিয়েছে। ২০১৫ সালে বিটেক পাস করেছেন অর্ণব। তারপর পেয়েছিলেন মোটা মাইনের চাকরি কিন্তু বাবা-মাকে দেখাশোনা করার জন্য সেই চাকরি ছেড়ে ২০১৮ সালে স্কুলের চাকরিতে যোগদান করেন তিনি তবে আদালতের নির্দেশে গিয়েছে সেই চাকরিও এখন রীতিমতো দিশেহারা অর্ণব এবং তার পরিবার।
advertisement
আরও পড়ুন: ফের অস্কার এল ভারতে, পুরস্কৃত হল স্বল্পদৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্র ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স’
সমীরবাবু এই বিষয়ে জানান, বিটেক ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে মোটা টাকা ছেড়ে দিয়ে, স্কুলের সামান্য মাইনের চাকরি করতে আসে। সে কি চাকরি চুরি করতে পারে? এরপর দল এবং সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেছেন, শিক্ষা দফতর তো সব দেখে শুনেই চাকরি দিয়েছিল। আজ কি তাহলে সরকার এদের পাশে দাঁড়াবে না? এমনই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, বেকার ছেলেমেয়েদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি করা হল। অন্যদিকে বিরোধীদলের নেতা-নেত্রীরাও এই বিষয়ে সুর চড়াতে শুরু করেছে।
নয়ন ঘোষ