শ্রাবণ সোমবারে সকাল থেকে ভক্তদের লম্বা লাইন দেখা যায় এই মন্দিরে। শিবের মাথায় জল ঢালতে ভক্তদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। মন্দিরের গর্ভগৃহ ছোট হওয়ার জন্য সেখানে একসঙ্গে অনেক ভক্ত ঢুকতে পারেন না। সেখানে থাকতে হয় পূজারীদেরও। সবমিলিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ! উত্তর থেকে দক্ষিণ, তুমুল বৃষ্টির পূর্বাভাস… মাঠে মারা যাবে ‘উইকেন্ড’?
advertisement
তাই মন্দির পরিচালন কমিটির সদস্যরা এ বছর ঠিক করেছেন, মন্দিরের বাইরে একটি বিশেষ পাত্র রাখা হবে। যেখানে জল ঢালতে পারবেন ভক্তরা। আর সেই জল সোজা গিয়ে পড়বে মহাদেবের মাথায়। যাতে ভক্তদের কম অপেক্ষা করতে হয়। ফলে ভক্তরা সুষ্ঠুভাবে পুজো দিতে পারবেন, এমনটাই আশা করছেন তারা। পাশাপাশি এই বিশেষ দিনগুলিতে মন্দিরে থাকবেন বেশি সংখ্যক পুরোহিত। যাতে পুজো পর্ব দ্রুত সারা যায়।
অন্যদিকে এই বছর থেকে আঢ়াশিব মন্দির এলাকায় শুরু হচ্ছে শ্রাবণী মেলা। মেলার মধ্যে দিয়েও বিশেষ চমক দিতে চাইছেন মন্দির পরিচালন কমিটির সদস্যরা। মূলত গ্রাম বাংলার পুরনো দিনের যে মেলা আগে দেখা যেত, তা দখল করেছে আধুনিক জিনিসপত্র। পরিচালন কমিটির সদস্যরা চাইছেন, শ্রাবণী মেলার মধ্যে দিয়ে পুরনো মেলার স্বাদ ফিরিয়ে দিতে। শ্রাবণী মেলায় শান্তিনিকেতনের স্বাদ কিছুটা পাওয়া যাবে বলে দাবি করছেন কমিটির সদস্যরা। সবমিলিয়ে শ্রাবণ সোমবার উপলক্ষে সেজে উঠে জেলার প্রাচীন এই শিব মন্দির।
নয়ন ঘোষ