দুর্গাপুরের মার্কনি দক্ষিণ পল্লি পুজোর থিম মাটি। যদিও তারা এই থিমের মধ্যে দিয়ে অন্যরকম বার্তা দিতে চেয়েছেন। সেই কবে রামকৃষ্ণদেব বলে গিয়েছেন, 'টাকা মাটি, মাটি টাকা'। তাই সেই মাটির ওপর ভরসা করে কীভাবে স্বনির্ভর হওয়া যায়, সেই বিষয়ে এই থিম থেকে শিক্ষা দেওয়া হবে। পুজো মণ্ডপের থিমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে থাকবে আলোকসজ্জা। প্রতিমা হবে সাবেকি ধাঁচের। যা মাটির থিমে তৈরি মণ্ডপের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ কোচবিহারের টাকাগাছের ৭৩ বছরের দুর্গাপুজো, আকর্ষণ ৭১ ফুটের শিব মন্দির
শহরে দুর্গাপুরে যতগুলি বড় পুজো হয়, তার মধ্যে মার্কনী দক্ষিণ পল্লির পুজো অন্যতম। বিগত কয়েক বছর আগে পর্যন্ত শহরের শ্রেষ্ঠ পুজোর খেতাব জিতে এসেছে মার্কনি দক্ষিণ পল্লি। যদিও এখন তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমেছে শহরের আরও দু-একটি পুজো কমিটি। কিন্তু ৬২ তম বছরে মার্কনী দক্ষিণ পল্লির পুজো নিয়ে আকর্ষণ বাড়ছে শহরবাসীর। মাটির তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্র দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে মণ্ডপ। মণ্ডপ তৈরির কাজ অর্ধেকের বেশি হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে চলছে সাজানোর কাজ।
মাটির হাড়ি, কলসি, মালসা ইত্যাদি দিয়ে মন্ডপটি সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। উদ্যোক্তারা বলছেন, মণ্ডপ তৈরি সম্পন্ন হলে, যখন আলোকসজ্জার কাজ শেষ হবে, তখন এই মণ্ডপটি অনন্য সাধারণ রূপ নেবে। যা সহজেই আকর্ষিত হবে শহরবাসীর চোখে। শিল্পী এবং পুজো উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, থিম হিসেবে মাটিকে বেছে নেওয়ার কারণ রয়েছে যথেষ্ট। প্রথম কারণ মণ্ডপ তৈরিতে মাটির জিনিসপত্র ব্যবহার করা হলে, তা পরিবেশের পক্ষে ক্ষতিকর নয়। ফলে এই পুজোটি অনেক বেশি 'ইকো ফ্রেন্ডলি' হবে।
অন্যদিকে, বর্তমানে মাটির তৈরি জিনিসপত্র খুব বেশি বিক্রি হয় না। ফলে কুমোররা বেশ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও পড়েছেন। কিন্তু মাটির তৈরি জিনিসগুলি ব্যবহারের বার্তা দিলে বা মানুষ আবার নতুন করে এই সমস্ত জিনিস ব্যবহার করতে শুরু করলে, কুমোররা আবার উপার্জনের দিশা ফিরে পাবেন। অনেক মানুষ স্বনির্ভর হতে পারবেন। আবার এই সমস্ত জিনিস মানুষের স্বাস্থ্য এবং পরিবেশের পক্ষেও ক্ষতিকর হবে না। সবমিলিয়ে মার্কিনী দক্ষিণ পল্লি অপেক্ষা করছে, আগমনীর আগমনের। শহরবাসীর কাছে চমকপ্রদ এক মণ্ডপ তুলে ধরার। আর শহরের মানুষ রয়েছেন চমকপ্রদ মণ্ডপ দেখার অপেক্ষায়।
Nayan Ghosh