কারিগররা দুর্গা পুজো পিছিয়ে যাওয়ার জন্য আগে থেকে অন্য প্রতিমা তৈরি করে রাখছেন। তৈরি করে রাখছেন লক্ষ্মী প্রতিমা, কার্তিক মূর্তি এবং কালী প্রতিমা। তাছাড়াও কারিগররা বিশ্বকর্মা মূর্তি বানানোর কাজেও হাত লাগিয়েছেন। ছোট মূর্তি গুলি বানানো হয়ে গেলে, তারপর তারা দুর্গা প্রতিমা তৈরীর কাজে হাত লাগাবেন। যদিও তারা দুর্গা মূর্তি তৈরির জন্য খড়, মাটি ইত্যাদি তৈরি রাখছেন। ছোট ছোট প্রতিমাগুলি, অর্থাৎ লক্ষ্মী, কার্তিক, কালী প্রতিমাগুলি তৈরির কাজ কিছুটা এগিয়ে গেলেই তারা দুর্গা প্রতিমা তৈরির কাজে হাত লাগাবেন।
advertisement
এ বিষয়ে কারিগররা বলছেন, দুর্গা প্রতিমা তৈরি করতে সময় অনেক বেশি লাগে। অনেকগুলি মূর্তি একসঙ্গে তৈরি করতে হয়। এই মূর্তি তৈরি করতে খরচও অনেক বেশি হয়। ফলে তারা পুজোর অর্ডার পাওয়ার জন্য কিছুটা অপেক্ষা করছেন। কারণ, যদি তৈরি করা দুর্গা প্রতিমা অবিক্রিত থেকে যায়, তাহলে তার লোকসান বহন করতে হবে কারিগরদের।
তাছাড়াও কারিগরদের ওয়ার্কশপে সীমিত জায়গা থাকে। ফলে বিশাল দুর্গা প্রতিমা রেখে দিতে হলেও সমস্যায় পড়তে হবে তাদের। তাই তারা ছোট ছোট প্রতিমা গুলি আগে তৈরি করে রাখছেন। শ্রাবণ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের পর থেকে দুর্গা প্রতিমা তৈরীর কাজে হাত লাগাবেন তারা।
আরও পড়ুন: কাঠামো পুজো দিয়ে শুরু প্রস্তুতি! ৫ দশকের বেশি সময় ধরে চলছে এই দুর্গাপুজো
এদিন শহরের একটি প্রতিমা তৈরীর কারখানায় গিয়ে দেখা গিয়েছে, এক কারিগর লক্ষ্মী, বিশ্বকর্মা, কার্তিক-সহ একাধিক মূর্তি তৈরি করে রেখেছেন। সেই সমস্ত ছোট ছোট মূর্তি গুলি তিনি ঘরের বাঙ্কারে পর্যন্ত তুলে রেখেছেন। তৈরি করা প্রতিমা গুলি তারা রেখেছেন বসবাস করা ঘরের বিভিন্ন জায়গায়। তারা বলছেন, এখনও পর্যন্ত খুব বিশেষ বর্ষা নামেনি। তাই এই প্রতিমাগুলি আগের থেকে তৈরি থাকলে, কাজে অনেক সুবিধা হবে।
আরও পড়ুন: কম্বল কাণ্ডে চৈতালীকে আগাম জামিন সুপ্রিম কোর্টের
একটি কারখানায় গিয়ে দেখা গিয়েছে, স্বামী -স্ত্রী দুজনে মিলে প্রতিমা তৈরীর কাজে হাত লাগিয়েছেন। দুর্গা প্রতিমা তৈরীর আগে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ছোট প্রতিমা গুলি তৈরি করে রাখতে চাইছেন তারা। কারিগররা বলছেন, একবার দুর্গা প্রতিমা তৈরির কাজে হাত লাগালে, তখন আর সময় থাকবে না। ফলে পঞ্জিকা অনুযায়ী মলমাস যেমন দুর্গা পুজোর জন্য বাঙালির অপেক্ষা বাড়িয়েছে, তেমনই এই মল মাস সমস্যায় ফেলেছে প্রতিমা তৈরীর কারিগরদেরও।
Nayan Ghosh