আরও পড়ুন: ভাঙা বোতলের মণ্ডপ যেন ভঙ্গুর মনের কথা বলে
পুজোর পাঁচ দিন কুলটির আদিবাসী আশ্রমে ধুমধাম করে উমার আরাধনা হয়। তবে আচার অনুষ্ঠান যাই হোক না কেন তার সবটাই হয় আদিবাসী রীতিতে। আদিবাসী সমাজের প্রধান দেবতা মারাংবুরুর উপসনার সঙ্গে এখানে উমা অর্থাৎ মা দুর্গার আরাধনার মধ্যে কোনও ভিন্নতা নেই। ৪৭ বছর ধরে নিজের নিয়মেই দুর্গাপুজো করে আসছেন সিংরাই বাবা। আর এই প্রথার সবচেয়ে চমকপ্রদ দিক হলো সংস্কৃত ভাষার চণ্ডীপাঠ এখানে সাঁওতালিদের নিজস্ব ভাষা অলচিকিতে হয়।
advertisement
নিয়ামতপুরের আদিবাসী ভক্তরা নিজেদের মতো করে মা দুর্গার পুজো করে থাকেন। এমনিতেই বন-জঙ্গল, প্রকৃতির পুজোয় অভ্যস্ত আদিবাসীরা। বছর ৪৭ আগে সিংরাই বাবা নিজেই আশ্রম তৈরি করেন এখানে। স্ত্রী লক্ষ্মীদেবীকে নিয়ে বসবাস শুরু করেন। সেই আশ্রমেই একে একে হিন্দু দেবদেবীরাও জায়গা করে নেন। সাঁওতালি দেবদেবীর পাশাপাশি দুর্গা, গণেশ, কালী, লক্ষ্মীও পুজো পান এখানে। সিংরাই বাবার আশ্রমে দুর্গা আরাধনার মধ্যে অভিনবত্ব রয়েছে। দুর্গাপুজো প্রচলনের আগে তিনি এরকমই এক প্রতিমার স্বপ্ন দেখেছিলেন, তাই সেভাবেই প্রতিমা তৈরি করিয়েছেন।
এই মন্দিরে সারা বছরই মা দুর্গা থাকেন। পঞ্চমীর দিন পুরনো প্রতিমা বিসর্জন দিয়ে নতুন মূর্তি বসানো হয়। এখানে দশমীর বিষাদ নেই। কারণ মা দুর্গাকে রেখে দেওয়া হয় এক বছর। সারা বছরই নিত্য পুজো হয়। তবে পুজোর সময় জাঁকজমক থাকে একটু বেশি। যদিও বছরখানেক হল আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা সিংরাই বাবা প্রয়াত হয়েছেন। এখন মন্দিরের পুজোর যাবতীয় দায়ভার নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন সিংরাই বাবার ছেলে। তিনি এখন বাবার তৈরি করা নিয়মেই পুজো চালিয়ে যাচ্ছেন।
Catch Special Coverage on দুর্গা পূজা 2023 | Durga Puja 2023 Celebration in West Bengal , বাঙালির দুর্গাপূজা 2023 :- দুর্গা পূজা 2023 রেসিপি | দুর্গা পূজা 2023 রেস্তোরাঁ | দূর্গা পূজা 2023 ফ্যাশন | দূর্গা পূজা 2023 ফটো | দূর্গা পূজা 2023 ভিডিও
নয়ন ঘোষ