অন্যদিকে ডেঙ্গি মশার লার্ভা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশি পরিমাণে ছাড়া হবে গাপ্পি মাছ। দুর্গাপুরের ডেঙ্গির আতুরঘর পলাশডিহা পরিদর্শনে এসে এমনটাই জানালেন পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের অতিরিক্ত সচিব জলি চৌধুরী।
বর্তমানের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতেও নানা রকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে যে জায়গা গুলিতে জ্বরের সংখ্যা বেশি দেখা যাবে, সেখানে বেশি মাত্রায় রক্তের নমুনা পরীক্ষা করা হবে। যে সমস্ত বাড়িতে ডেঙ্গি সংক্রমন হবে, তার আশপাশের বাড়িগুলিতে বসবাসকারী বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যের ওপর নজর রাখা হবে।
advertisement
পাশাপাশি যাঁরা ডেঙ্গি আক্রান্ত হবেন, তাঁদের বাড়িতে রেখেই চলবে চিকিৎসা। সাত থেকে আট দিন তাদের নজরে রাখা হবে। প্রয়োজনে নিয়ে যাওয়া হবে চিকিৎসা কেন্দ্রে। তাছাড়াও সমস্ত এলাকার সাফ সাফাইয়ের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। বিশেষ করে বাড়িতে জমা করে রাখা স্ক্রাপ সংগ্রহ করতে জোর দেবে পৌরসভাগুলি, এমনটাই জানিয়েছেন অতিরিক্ত সচিব।
আরও পড়ুন, মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘কলম’ ধরলেন শুভেন্দু
আরও পড়ুন, বিরাট খবর! ২০২২-এর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের
দুর্গাপুর পুরসভা এলাকায় এখনও পর্যন্ত ৫৯ জন ডেঙ্গি সংক্রমিত হয়েছেন। যার মধ্যে বেশিরভাগই রয়েছেন পলাশডিহা এলাকায়। দুর্গাপুর পৌরসভার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গির ক্ল্যাস্টার পাওয়া গিয়েছে বলে আগেই জানিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা। তবে শহরে ডেঙ্গি সংক্রমণ রুখতে এবং ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে দুর্গাপুর পুরসভা খুব ভাল কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের অতিরিক্ত সচিব জলি চৌধুরী। ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুরসভার আধিকারিকরা সহ স্বাস্থ্যকর্মী, আশা কর্মী এবং সাফাই কর্মীরা জোর কদমে ময়দানে নেমেছেন।
Nayan Ghosh