শ্রীহানের বাবা-মা বলছেন, ছোট থেকেই তাদের ছেলের স্মৃতিশক্তি প্রখর। যা চোখের সামনে দেখতে পায়, তাই মনে রাখতে পারে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি এনসাইক্লোপিডিয়া পড়ে ফেলেছে সে। ছোট থেকেই বইয়ের ওপর তার ভীষণ ঝোঁক। তবে ছ’বছরের শ্রীহান অঙ্কন বিদ্যাতেও দক্ষ। ছোট থেকে ছেলের স্মৃতিশক্তি কতটা প্রখর, তা কিছুটা আন্দাজ করতে পারেন তার বাবা-মা। ছেলেকে বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা দিতে থাকেন তাঁরা। আর বর্তমানে শ্রীহান মাত্র কয়েক মিনিটে বলে দিতে পারে ১৯৪ সামুদ্রিক প্রাণীর বৈজ্ঞানিক নাম। এই প্রতিভার জন্যই সম্প্রতি তাঁর নাম উঠেছে এশিয়া বুক অফ রেকর্ডসে। সেখান থেকে এসেছে সার্টিফিকেট, মেডেল।
advertisement
শ্রীহানের বাবা সৌরভ পাল দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সহকারী অধ্যাপক। বাবা এবং মায়ের কাছে থেকে নিয়মিত তালিম নেয় ৬ বছরের এই খুদে। আগামী দিনে তার লক্ষ্য গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম তোলা। ৬ বছরের কম বয়সেই এই ছোট্ট শ্রীহান অবাক করে দিয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। একটি রিয়্যালিটি শোয়ে অংশগ্রহণ করে সঞ্চালক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিজের প্রতিভার শক্তিতে অবাক করে দিয়েছিল শ্রীহান। সেই প্রতিভার উপর ভর করে আজ সে এশিয়ায় রেকর্ডধারী। ছেলের এই সাফল্যে খুশি তার বাবা-মা থেকে শুরু করে তার আত্মীয় পরিজন এবং শহরবাসীও।