শিবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থানীয় এলাকার বহু ছোট ছোট ছেলেমেয়ে পড়াশোনা করতে আসে রোজ। এ বছরই শিবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা অঙ্কিতা বাগদি। আর যেদিন থেকে অঙ্কিতা বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে, সেদিন থেকে তার সঙ্গে বিদ্যালয় পর্যন্ত আসছে মিঠু। অন্য পাঁচটা বন্ধুর সঙ্গে স্কুলে আসে অঙ্কিতা। আর যখন অঙ্কিতা স্কুলে আসে, তখন গাছ থেকে উড়ে এসে সটান অঙ্কিতার কাঁধে অথবা মাথায় বসে পড়ে মিঠু। যতক্ষণ অঙ্কিতা ক্লাসরুমে থাকে, ততক্ষণ মিঠুও থাকে সেখানে। অঙ্কিতা ভালবেসে মিঠুর তুলে দেয় বিস্কুটের টুকরো। অঙ্কিতার দেখা দেখি এখন অন্যান্য পড়ুয়া, এমনকি শিক্ষকরাও মিঠুর মুখে খাবার তুলে দেয়। একটি পাখির সঙ্গে মানুষের এমন ভালবাসার নজির দেখে অবাক শিবপুর এলাকার মানুষ।
advertisement
আরও পড়ুন : ১৫ বছর বয়সে বিয়ে ৫০ বছরের ব্যক্তিকে, আজ ৯৮ বছর বয়সে ৬০০ জন নাতিপুতির ঠাকুমা দিদিমা সেদিনের সেই কিশোরী
অঙ্কিতা জানিয়েছে, যেদিন সে মিঠুকে দেখতে পায় না, সে দিন তার মন খারাপ হয়ে যায়। আবার শিক্ষকরা জানাচ্ছেন, যেদিন অঙ্কিতা বিদ্যালয়ে আসে না, সেদিন দেখা যায় না মিঠুকে। ছটফট করে নানা দিকে ঘুরে বেড়ায় মিঠু। কখনও কখনও তার সঙ্গে তার বাড়িতেও চলে যায় মিঠু। এমন ভালবাসা দেখে খুশি সকলেই। শুধু অঙ্কিতা নয়, এখন মিঠুকে ভালবেসে ফেলেছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষিকা থেকে শুরু করে অন্যান্য পড়ুয়ারাও।