টোটো চালক মুকেশ দত্ত বলছেন, “একটা সময় হঠাৎ করেই এই হনুমানটি এসে টোটোতে বসে পড়ে। আর কিছুতেই তাকে নামানো যায়নি।” তখন তিনি ভেবেছিলেন, হয়তো টোটোতে আর যাত্রী পাওয়া যাবে না। কিন্তু তিনি দেখেন বিপরীত। টোটো নিয়ে বেরনো মাত্রই একের পর এক যাত্রী পেতে থাকেন তিনি। তারপর থেকে সেই হনুমানকে সঙ্গে নিয়েই তিনি যাত্রা শুরু করেন। সেই চালক বলছেন, এখন তাঁর প্রত্যেকটা দিন বেশ ভালই যাচ্ছে। ভাল উপার্জনও হচ্ছে। কার্যত এই হনুমানটিকে তিনি ভগবানের মতো শ্রদ্ধা করছেন। অবাক করার বিষয়, টোটোতে এসে বসা অন্য যাত্রীদেরও কোনওরকম ভাবে বিরক্ত করে না এই হনুমানটি।
advertisement
আরও পড়ুন: দিঘার পা রাখলেই অবাক হবেন এবার! সমুদ্রে অপেক্ষা করছে সবথেকে বড় চমক, জেনে নিন
আরও পড়ুন: বীরভূম যাচ্ছেন? নিরিবিলিতে এই মঠে কাটাতে পারেন কিছুটা সময়
বিষয়টি দেখে হতবাক হয়ে যাচ্ছেন স্থানীয় মানুষজনও। তাঁরা বলছেন, টোটোতে বসে থাকা এই হনুমানটি কাউকে বিরক্ত করেনা। যাত্রীরা কেউ এসে যখন তাকে খাবার তুলে দেন, সে দু’হাত তুলে যাত্রীদের মাথায় আশীর্বাদ করে। আবার টোটো দূরে কোথাও গেলে হনুমান নিজে থেকেই নেমে পড়েন।
ঘুরে বেড়ানোইতার পছন্দ। আবার হঠাৎ করে টোটো থেমে গেলেও তা পছন্দ হয় না হনুমানজির। হঠাৎ করেই যেন হনুমানটি সঙ্গে অদৃশ্য বন্ধন তৈরি হয়েছে টোটো চালক মুকেশ দত্তের। এই অস্বাভাবিক দৃশ্য তাড়িয়ে তাড়িয়ে অনুভব করেন যাত্রী থেকে সাধারণ মানুষও।
নয়ন ঘোষ