আরও পড়ুন: বাজি হাব তৈরির খবর ছড়িয়ে পড়তেই আতঙ্ক চৌবেড়িয়ায়
বর্ষায় নদী-নালা, খাল-বিলে মাছ কিলবিল করে। কম জলে এই সমস্ত মাছ ধরতে দারকি ব্যবহার করতে হয়। মাছ ধরার ফাঁদ হিসেবে এটির ব্যবহার চলে আসছে আবহমান কাল ধরে। গ্রাম বাংলায় সর্বত্র দারকি দিয়ে মাছ ধরার প্রচলন এখনও দেখা যায়। পুঁটি, শিং, কৈ , গোচি সহ নানান প্রজাতির মাছ ধরা হয় এই দারকি দিয়ে। তাই বর্ষা নামতেই দারকি বানাতে প্রচন্ড ব্যস্ত সুরশা গ্রামের বাসিন্দারা।
advertisement
বাঁশের শলার তৈরি এই দারকির উভয় দিকে, উপরে-নীচে ৩টি করে ৬টি দ্বার বা পথ থাকে মাছ ঢোকার। দ্বারগুলো এমন ফাঁদ বিশিষ্ট যে মাছ একবার ঐ দ্বার দিয়ে ঢুকলে আর বের হয়ে আসতে পারে না। দারকির ভেতরকার ঘেরাটোপে মাছ আটকা পড়ে যায়। এক দারকি শিল্পী জানান, আগেকার দিনে বাঁশের শলা বেত দিয়ে বুনিয়ে দারকি বানানো হতো। এখন বেত তেমন পাওয়া যায় না। পাওয়া গেলেও দাম বেশির কারণে বেতের বদলে নাইলনের সুতা ব্যবহার করা হয়। ঘরের সামনে উঠানে বসে দিনভর দারকি বাঁধে সুরশা গ্রামের প্রতিটি পরিবারের সদস্যরা। এই গ্রামের দেবু বৈশ্য জানান, মাছ ধরার দারকি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা দামে তাঁরা বাজারে বিক্রি করেন।বাঁশের শলার তৈরি বিশেষ ধরনের এই মাছ ধরার ফাঁদ বিক্রি করেইসংসার চালান গ্রামের সকলে। সারা বছর বিশেষ একটা বিক্রি না হলেও বর্ষাকালে দারকির বাজার থাকে তুঙ্গে। ফলে বৃষ্টি শুরু হলেই মুখে হাসি ফোটে এই গ্রামের মানুষদের।
পিয়া গুপ্তা





