কলেজে ভর্তি হওয়ার আশায় বুধবার রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেল বহু উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীকে। সেখানে উপস্থিত মধ্যে ডালখোলার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পড়ুয়া বলছিল, স্নাতক স্তরে ইংরেজিতে অনার্স নিয়ে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চাই। কিন্তু কবে থেকে ভর্তির আবেদন করব সে বিষয়ে কিছুই জানি না। কোথাও কোনও নোটিশ দেওয়া হয়নি। বুঝতে পারছি না কি করব। ঘটনা হল স্নাতক স্তরে ভর্তি নিয়ে তাঁদের করণীয় কী তা রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরাও বুঝে উঠতে পারছেন না। ফলে পড়ুয়াদের মত তাঁরাও অন্ধকারে আছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: সেলাই শিখে সংসারের হাল ধরার স্বপ্ন সুন্দরবনের মেয়েদের
উল্লেখ্য, উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল ঘোষণার পরও রাজ্য শিক্ষা দফতরের নির্দেশিকা না আসায় এ বছর স্নাতক স্তরের ভর্তি প্রক্রিয়া এখনও শুরু করা যায়নি। নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি মেনে স্নাতক স্তরে ভর্তি করা হবে নাকি রাজ্য নিজের পুরনো নিয়মে চলবে তা পুরোপুরি পরিষ্কার নয়। এই বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠতে পারেনি উচ্চশিক্ষা দফতর। শোনা যাচ্ছে জাতীয় শিক্ষানীতি না মানলেও চলতি বছর থেকেই স্নাতক স্তরের পাঠক্রম তিন বছরের বদলে বেড়ে চার বছরের হতে পারে। আর এই টানাপোড়নের জেরে নাজেহাল হচ্ছে সদ্য উচ্চমাধ্যমিক পাস পড়ুয়ার।
এদিকে এই বছর থেকে রাজ্যের কলেজগুলিতে কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে স্নাতক স্তরে ভর্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু কোন পদ্ধতিতে কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে ভর্তি নেওয়া হবে সেটাও পরিষ্কার নয়। ফলে কলেজগুলো নিজেদের মতো করে এগোতেও পারছে না। শুধু রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নয়, উত্তর দিনাজপুরের সমস্ত কলেজেরই পরিস্থিতি একই রকম। এই প্রসঙ্গে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার দুর্লভ সরকার বলেন, এই বছর অভিন্ন কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে স্নাতক স্তরের ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু ভর্তির বিষয়ে সরকারিভাবে আমাদের কাছে কোনও তথ্য না আসায় আমরা পড়ুয়াদের কিছুই জানাতে পারছি না।
পিয়া গুপ্তা