ঘর বাড়ি পরিষ্কার এর ক্ষেত্রে অপরিহার্য এই ঝাঁটা নিয়ে সংগীত রসিকদের মন মাতানো সংগীত মার ঝাড়ু মার, ঝাড়ু মেরে ঝেটিয়ে বিদায় কর। এই গানটি এই গ্রামটির ক্ষেত্রে অন্যতম প্রযোজ্য তা কিন্তু আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এই গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কিছু এলাকার যেমন এলাকার মানুষরা বেছে নিয়েছেন কার্পেট বুনার কাজ তেমনি এই গ্রাম পঞ্চায়েতের অপর একটি গ্রাম দক্ষিণ পলিহার গ্রামের মানুষ বেছে নিয়েছেন এই ঝাঁটা তৈরির কাজ।
advertisement
আরও পড়ুন: এক মুঠো মুড়িতেই নানা রোগ মুক্তি! তবে মুড়ি খাওয়ার সঠিক নিয়ম জানেন তো! না হলেই বিপদ!
সকাল থেকে প্রতিটি পরিবারের একটাই কাজ কে কয়টা ঝাঁটা সকাল থেকে তৈরি করতে পারবে। কারণ একটাই ঝাঁটার চাহিদা সবসময়ই রয়েছে। জানা যায় এই গ্রামের মানুষরা রায়গঞ্জ থেকে নারকেলের সোলা কিনে নিয়ে এসে এখানে এই ঝাঁটা তৈরি করেন। প্রতিদিন এক একটি পরিবার প্রায় ৫০ থেকে ৬০ টি নারকেলের ঝাঁটা তৈরি করে থাকেন।আর এই ঝাঁটা গুলো বানানোর পর সে গুলোকে হাটে হাটে এবং শহরের ও গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে থাকেন। এখানকার কারিগররা জানান ঝাঁটা বিক্রি করেই তাদের সংসার চলছে বংশপরম্পরা ধরে। তাই এই গ্রামের মানুষ ঝাঁটা তৈরিকে বেছে নিয়েছেন একমাত্র রুটি রুজির হাতিয়ার হিসেবে।
পিয়া গুপ্তা