খাতায় কলমে বর্ষাকাল হলেও গত কয়েকদিনে ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল হচ্ছেন উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গের মানুষ৷ অভিযোগ, এই পরিস্থিতির মধ্যেই জেলা জেলায় শুরু হয়েছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং৷ কোথাও কোথাও টানা পাঁচ থেকে ছ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ থাকছে না৷ ১০-১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকার ঘটনাও ঘটছে৷ বিদ্যুৎ এলেও কিছুক্ষণের মধ্যে ফের তা চলে যাচ্ছে৷ ফলে এসি দূরে রাত, রাতে ফ্যান চালিয়েও ঘুমোতে পারছেন না মানুষ৷ উত্তর থেকে দক্ষিণ রাজ্যের সর্বত্রই ছবিটা একই রকম৷
advertisement
ইতিমধ্যেই অনেক জায়গাতেই রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমের পক্ষ থেকে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে কোন এলাকায় কতক্ষণ বিদ্যুৎ থাকবে না, তার তালিকা দেওয়া হয়েছে৷ সেখানে অবশ্য রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্যই বিদ্যুৎ না থাকার কথা জানানো হয়েছে৷ যদিও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শুক্রবার ট্যুইট করে অভিযোগ করেছেন, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে কয়লা কিনে পাঠাতে পারছে না রাজ্য সরকার৷ সেই কারণেই বিদ্যুতের ঘাটতি তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা৷
উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারে যেমন পর পর দু’ দিন রাত ১টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত তো লোডশেডিং ছিল৷ ফলে অস্বস্তিকর গরমে কার্যত না ঘুমিয়ে রাত কাটাতে হয়েছে মানুষকে৷ পর পর তিন দিন এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় শুক্রবার চাঁচলে বিদ্যুৎ দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা৷ মালদহের চাঁচলেও রাত ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল না৷ উত্তর দিনাজপুরেও একই ভাবে রাত হলেই বিদ্যুৎ থাকছে না৷ মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়েও পরিস্থিতি একই রকম৷ সেখানেও রানিনগরে লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা৷
উত্তর চব্বিশ পরগণার বসিরহাটেও গত কয়েকদিন ধরে প্রায় প্রতিদিনই পাঁচ ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ থাকছে না৷ বাঁকুড়াতেও বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুরু হয়ে গতকাল প্রায় সারাদিন জেলা জুড়ে দফায় দফায় লোডশেডিং হয়৷ এ দিন সকাল থেকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে৷ দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা, হুগলি থেকেও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের খবর এসেছে৷
সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলছেন, বহু জায়গাতেই কোনও রকম আগাম ঘোষণা বা বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই ঘণ্টার পর ঘণ্টা প্রায় প্রতিদিনই বিদ্যুৎ থাকছে না৷ তাছাড়া যদি রক্ষণাবেক্ষণের জন্যই বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হয় তাহলে কেন সারা রাত ধরে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হচ্ছে? এই প্রশ্নের জবাব অবশ্য মেলেনি৷






