১৯৭০ সালে রাজ্য সরকারের সামাজিক বনসৃজন প্রকল্পের অধীনে গড়ে উঠেছিল এই কুলিক পক্ষী নিবাস। ক্রমেই তা আয়তন বেড়েছে। লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। নতুনভাবে গড়ে উঠেছে ওয়াচ টাওয়ার। এখানে এলেই আপনি দেখতে পাবেন নাইট হেরেন, ওপেন বিল টর্ক, এগ্রেট, করমোরেন্ট সহ বহু প্রজাতির পাখি। মূলত মে থেকে জুন মাসে সাইবেরিয়া থেকে দলে দলে এই পাখিরা ছুটে আসে উত্তর দিনাজপুরের এই কুলিক পক্ষী নিবাসে।
advertisement
আরও পড়ুন: বালুরঘাটে সরকারি ভবনে আগুন, বাতাসে রাসায়নিক মিশে তীব্র শ্বাসকষ্ট
সাইবেরিয়া ওই বিশেষ প্রজাতির পাখিরা শীতকালে এখানে এসে ডিম পাড়ে এবং ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। বাচ্চাদের কিছুটা বড় করে তুলতে তুলতে এখানকার শীত ফুরিয়ে আসে। তারপর আবার ছানা সহ তারা পাড়ি জমায় সেই সুদূর সাইবেরিয়ায়। তবে এই বছর আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে কিছুটা দেরিতে আগমন হয় সাইবেরিয়ার পাখিদের।
কুলিক নদী থেকে একটি খাল প্রবাহিত হয়েছে কুলিক পক্ষী নিবাসের ভিতরে। ইতিমধ্যেই সেই খাল সংস্কার করে খালের জল তৎসংলগ্ন এলাকায় পাখিদের জন্য খাবার হিসেবে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। খালের ভিতর পাখিদের খাবারের জন্য ছাড়া হচ্ছে ছোট পোনা মাছ। কুলিক পক্ষী নিবাসের ভেতর বনসৃজন প্রকল্পের মাধ্যমে লাগানো হয়েছে প্রচুর গাছ। রায়গঞ্জের এই কুলিক পক্ষী নিবাসে আসলে আপনি যেমন একদিকে বহু পাখির দেখা পাবেন তেমনই পেয়ে যাবেন খরস্রোতা কুলিক নদীর দেখা। যেখানে বসে কাটিয়ে নিতে পারেন নিজের অবসর সময়।
পিয়া গুপ্তা