আরও পড়ুন: বারণ না শুনে পুকুরের স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেল দুই শিশু, শোকের ছায়া শ্যামনগরে
জেলার সদর শহরের থানার ব্যারাকে হোমগার্ডের এইভাবে আত্মহত্যার চেষ্টায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে পুলিশ কর্মীদের মধ্যে। তাপি থোকদার নামে ওই হোমগার্ডের পরিবার জানিয়েছে, তিন বছর আগে তাঁর বিয়ে হয়। তবে এক বছর পরই স্ত্রী হঠাৎই মালদহের চাঁচলে বাপের বাড়ি চলে যায়। কেন ওই হোমগার্ডকে ছেড়ে তাঁর স্ত্রী চলে গিয়েছেন সে বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। পারিবারিক অশান্তির জেরে এই ঘটনা ঘটেছে কিনা তা উত্তর দিনাজপুর জেলা পুলিশের কর্তাদের কাছে স্পষ্ট নয়। ওই ঘটনার পর থেকেই তাপি থোকদার নামে এই হোমগার্ড মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন কিনা সেই নিয়ে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।
advertisement
এদিকে থানার ব্যারাকে সার্ভিস রিভলবার থেকে গুলি চালিয়ে হোমগার্ডের আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা প্রসঙ্গে রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার এসপি মহম্মদ সানা আখতার জানান, আহতের চিকিৎসা চলছে। কী কারণে এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই মুহূর্তে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজের অপারেশন থিয়েটারে ওই হোমগার্ডের জরুরি অস্ত্রপোচার শুরু হয়েছে বলে তিনি জানান। এদিকে থানার ব্যারাকের প্রত্যক্ষদর্শী পুলিশ কর্মীরা জানিয়েছেন, সোমবার সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ আচমকা গুলির শব্দ পাওয়া যায়। তা শুনে বাকিরা ছুটে এসে দেখেন তাপি থোকদার রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। এই ঘটনায় পুলিশ কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সচেতনতা নিয়ে আরও একবার প্রশ্ন উঠে গেল।
পিয়া গুপ্তা