আরও পড়ুন: রেল দুর্ঘটনার পর দেহ এল পরিবারের কাছে, কিন্তু রক্তমাখা আধার দেখে চমকে উঠল সকলে!
আনজারুলের বিষয়টি তাঁরা প্রশাসনের নজরে এনেছেন। আনজারুলের প্রতিবেশী বলেন, সোমবার একটি দেহকে তাঁরা আনজারুলের বলে শনাক্ত করেছিলেন। কিন্তু পরে তা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে টানাটানির পরে যথাযথ প্রমাণ দিয়ে দেহ নিয়ে যায় হাওড়ার একটি পরিবার। প্রশাসন ও পুলিশের মধ্যস্থতায় দেহ ছেড়ে দিতে হয় আনজারুলের পরিবারকে।
advertisement
আনজারুলের দাদা আতাউর রহমান কয়েকজন প্রতিবেশীকে সঙ্গে নিয়ে ভাইয়ের দেহ খুঁজতে ওড়িশায় গিয়েছেন। কিন্তু দেহ খুঁজে পাওয়া যায়নি হাসপাতালে মর্গে। এরই মধ্যে খবর ছড়িয়েছে, অনেক পরিবারই তাঁদের প্রিয়জনের দেহ পাচ্ছেন না। বরং অনেককে অন্যের দেহ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর থেকেই উদ্বেগ ও দুঃশ্চিন্তা দানা বেঁধেছে আনজারুলের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। তাঁরা চাইছেন দ্রুত আনজারুলের সন্ধান করুক প্রশাসন। ঘটনার পর ৮ দিন কেটে গেলেও স্বামীর খোঁজ না পেয়ে ছোট ছেলে রিয়াজকে কোলে নিয়ে বাকি দুই ছেলে আবুজার ও আলহাজকে পাশে বসিয়ে অবিরাম কেঁদে চলেছেন আনজারুলের স্ত্রী সৃনারা বিবি। কবে ফিরবে ঘরের ছেলে?
পিয়া গুপ্তা