উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের দক্ষিণ কসবা এলাকায় দয়াল বাবুর নার্সারিতে বহুদিন ধরে দেশি আমের চাষ করতেন তিনি। কিন্তু প্রায় তিন বছর ধরে বিদেশি আম ফলিয়ে সাফল্য পেয়েছেন তিনি৷ বাজারে এই আমগুলির মূল্য আকাশছোঁয়া। দেশি জাতের তুলনায় বিদেশি জাতের আম ৫ থেকে ৬ গুণ দামে বিক্রি হওয়ায় লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন দয়াল সরকার।
advertisement
তাঁর নার্সারিতে রয়েছে
পালমার আম: যা মূলত আমেরিকায় পাওয়া যায়। এই পালমার আম দেখতে লাল রঙের হয়ে থাকে।পালমার আমের দাম ৪৫০০ টাকা
নামডকমাই আম:
বিশ্বব্যাপি সমাদৃত অতি মুল্যবান জাতের একটি আম হল নাম ডকমাই আম।নাম ডকমাই আম দেখতে সাদাটে ও আকর্ষনীয়।নামডকমাই আমের দাম প্রতি কেজিতে ২১০০ টাকা।
ব্যানানা ম্যাঙ্গো: থাইল্যান্ডভিত্তিক এই আম স্বাদে ও গন্ধে বেশ মনকাড়া। দেখতে কলার মতো লম্বা, পাকার সময় দুধে আলতা মেশানোর মতো হলুদ থেকে গোলাপি রঙের, আঠি চোকা পাতলা, রয়েছে প্রকৃত আমের স্বাদ।এছাড়াওকাটিমন ম্যাঙ্গোরমত বিদেশী আমের গাছ ও রয়েছে দয়ালবাবুর নার্সারিতে। শুধু গাছ নয় ফলও বেশ ভালোই হয়েছে বলে জানিয়েছেন দয়ালবাবু। দয়ালবাবু জানিয়েছেন পুষ্টিগুণের কারণে এই আমগুলির দাম এত বেশি বলেই জানিয়েছেন দয়ালবাবু। এই পরিবেশে আমের যা আকার তা রেকর্ড গড়েছে। দয়াল বাবু জনান, একেবারে জৈবিক উপায়ে তৈরি সার দিয়ে এই চাষ করছেন তিনি।
দয়ালবাবু জানিয়েছে, ইতিমধ্যে চারাও বিপনন হয়েছে। তবে এখনই আম বাজারজাত করতে চান না তিনি। বানিজ্যিক ভাবে অধিক গাছ লাগানোর পরই ফলন বাজারে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। দয়াল বাবুর এই বিদেশী আমের নার্সারি ঘিরে ক্রমশই কৌতুহল বাড়ছে সাধারন মানুষের।
পিয়া গুপ্তা