আরও পড়ুন: প্রতিমা তৈরি থেকে পুজোর পাঁচদিন ঢাক বাজানো, বন্দোপাধ্যায় বাড়ির পুজোয় সবই করেন পরিবারের সদস্যরা
তবে নিজের জেলায় ন্যায্য মজুরি না পাওয়ায় পুজোর আগেই পরিবার ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে হয় উত্তর দিনাজপুরের ঢাকিদের। কালিয়াগঞ্জের বৈশ্য পাড়ার ৩০ টি পরিবারের বংশ পরম্পরায় ঢাক বাজানোর পেশা। তালিমও চলে পুজোর মুখে। কিন্তু পুজোর হাতেগোনা কয়েকদিন বাকি থাকলেও এখনও তাঁরা নিজের জেলায় কাজের বরাত পাননি। তাই পুজোর কয়েকটা দিন পরিবার-পরিজন ছেড়ে অন্যত্র ছুটে যেতে হয় এই ঢাকিদের। অন্য জেলার কোনও মণ্ডপে ঢাক বাজিয়ে দুটো পয়সার মুখ দেখেন তাঁরা।
advertisement
আর পাঁচজন যখন পুজোর সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে আনন্দে মেতে ওঠেন সেই সময় পরিবার-সন্তানদের ছেড়ে দূরে থাকতে হওয়ায় মন ভার হয় ঢাকিদেরও। ঢাক বাদক রানা বৈশ্য বলেন, আমরা বৈশ্য পাড়ার ৩০টি পরিবার ঢাক বাজানোর সঙ্গে যুক্ত। গ্রামের পুরুষদের পুজোর দিন পরিবার ছেড়ে বেরিয়ে পড়তে হয় বিভিন্ন জেলার পুজো মণ্ডপের উদ্দেশে। এখানকার ঢাকিরা মূলত কলকাতা, শিলিগুড়ি, মালদহের বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে ঢাক বাজান। কাউকে আবার হায়দরাবাদ কিংবা চেন্নাইতে চলে যেতে হয়। ভাল উপার্জনের আশাতেই পরিবার ছেড়ে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিতে হয় বলে অকপটে স্বীকার করে নিয়েছেন এখানকার ঢাক শিল্পীরা।
পিয়া গুপ্তা