গিল স্বীকার করেছেন, দল বর্তমানে এক ধরনের “দ্বিধা”-র মধ্যে রয়েছে। অক্ষর প্যাটেলের অলরাউন্ডার দক্ষতা বনাম কুলদীপ যাদবের উইকেট নেওয়ার ধারাবাহিক ক্ষমতা – এই দুইয়ের মধ্যে চলছে মূল লড়াই। প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরের কৌশলও এই দ্বিধাকে আরও জটিল করেছে। গম্ভীর ব্যাটিংয়ে গভীরতা চান, যা অক্ষরকে এগিয়ে রাখে, তবে কুলদীপের সাম্প্রতিক ফর্ম এবং উইকেট নেওয়ার ধারাবাহিকতাও তাকে সমানভাবে শক্তিশালী প্রার্থী বানিয়েছে।
advertisement
ইডেন গার্ডেন্সে প্র্যাকটিস সেশনে অক্ষর ও কুলদীপ দুজনকেই দীর্ঘ সময় ধরে বল ও ব্যাট হাতে অনুশীলন করতে দেখা গেছে। দলের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক তাদের প্রস্তুতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। পেস বিভাগে জসপ্রীত বুমরাহ ও মহম্মদ সিরাজের থাকা নিশ্চিত। যদি তৃতীয় পেসার খেলানো হয় তাহলে আকাশ দীপ দৌড়ে এগিয়ে আছেন।
গিল ইঙ্গিত দিয়েছেন যে পিচের আচরণই নির্ধারণ করবে দলে কারা থাকবেন। তিনি বলেন, “বছরের এই সময়ে সবসময়ই প্রশ্ন থাকে—অতিরিক্ত স্পিনার নামানো হবে, না অলরাউন্ডার। কাল সকালে উইকেট দেখে সিদ্ধান্ত নেব। আমাদের লক্ষ্য এমন কম্বিনেশন তৈরি করা যা ম্যাচ জেতার সর্বোচ্চ সুযোগ দেয়।”
ভারত শেষবার ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কুলদীপকে তৃতীয় স্পিনার হিসেবে খেলিয়েছিল, যেখানে তিনি ১২ উইকেট নিয়ে দলের সেরা বোলার হন। তবে সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকা ‘এ’-এর বিপক্ষে দ্বিতীয় আনঅফিশিয়াল টেস্টে ফ্ল্যাট পিচে তিনি মাত্র একটি উইকেট পান, যা কিছুটা উদ্বেগের কারণ হতে পারে।
অধিনায়ক গিল বলেন, ভারতের ঘরের মাঠে সাধারণত স্পিনাররাই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে। তিনি যোগ করেন, “আমাদের কাছে অক্ষর, ওয়াশিংটন সুন্দর ও জাদেজার মতো ব্যাটিং অলরাউন্ডার আছে, যাদের পারফরম্যান্স অসাধারণ। এতে আমাদের দলে ভারসাম্য আসে এবং ম্যাচে নানা বিকল্প তৈরি হয়।”
আরও পড়ুনঃ Mohammed Shami: আইপিএল নিলামের আগে শামির জন্য বড় খবর! তারকা পেসারকে দলে নিতে লড়াইয়ে ২ দল
তবে গিল এটাও উল্লেখ করেন যে শুকনো উইকেটে পেসারদের ভূমিকা কমবে না। “যদি রিভার্স সুইং পাওয়া যায়, তাহলে পেসাররাই ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারে,” বলেন গিল। সব মিলিয়ে, ইডেনের উইকেট যেমনই হোক না কেন, ভারতীয় দলের একাদশ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে টসের পরেই—আর সেই রহস্যই এখন ক্রিকেটপ্রেমীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু।
