২০১৯ সালে বহরমপুরের মতো মফস্বল শহর ছেড়ে বেঙ্গালুরুতে পাড়ি দেন সচিন। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির কাছের এক বেসরকারি অ্যাকাডেমিতে সাইড আর্ম থ্রোয়ার হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। সেখানেই তাঁর দক্ষতা নজরে আসে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের নির্বাচকদের। থ্রো ডাউনে গতি, নিখুঁত লক্ষ্য এবং পরিশ্রমের মনোভাব তাঁকে দ্রুত আলাদা করে দেয় অন্যদের থেকে।
advertisement
বিসিসিআই অনুমোদিত মহিলা প্রিমিয়ার লিগ শুরুর আগে পুনেতে অনুষ্ঠিত একটি প্রস্তুতি প্রতিযোগিতায় ‘ভেলোসিটি’ দলের ট্রেনিং অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে যোগ দেন সচিন। দলের অধিনায়ক ছিলেন বাংলার বিশ্বজয়ী অলরাউন্ডার দীপ্তি শর্মা। সেই প্রতিযোগিতাই হয়ে ওঠে তাঁর কেরিয়ারের মোড় ঘোরানো অধ্যায়।
এরপর একের পর এক সুযোগ আসে হাতে। ভারতীয় মহিলা দলের সঙ্গে শ্রীলঙ্কা সফরে যান সাপোর্ট স্টাফ হিসেবে, পরে ইংল্যান্ড ট্যুরেও দলের সঙ্গে থাকেন তিনি। গত পাঁচ বছর ধরে হরমনপ্রীত কউরদের সঙ্গে যুক্ত থেকে নিজের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতায় সচিন এখন দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপে ভারতীয় মহিলা দলের ঐতিহাসিক সাফল্যের সাক্ষী থেকেছেন তিনিও।
আরও পড়ুনঃ KKR News: একসঙ্গে বাদ ১০ জন! নিলামের আগে বড় চমক দেবে কেকেআর! তালিকায় একের পর এক তারকা!
সচিনের কোচ বিধানচন্দ্র সরকার জানান, ছাত্র জীবনে অফ–স্পিনের পাশাপাশি ব্যাটিংয়েও পারদর্শী ছিল সচিন। ক্যাম্পে ছেলেদের সাইড আর্ম থ্রোয়ার হিসেবে অনুশীলন করাতো সে। কোচের মতে, সচিনের নিষ্ঠা ও অধ্যবসায়ই আজ তাকে এই উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। তাঁর এই সাফল্য মুর্শিদাবাদের নতুন প্রজন্মের ক্রিকেটারদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে বড় মঞ্চে পৌঁছানোর।




