শ্যুটার সন্দীপ সিং পঞ্জাবের ফরিদকোটের বাসিন্দা। লোকাল 18-এর সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি জানাল, খুব অল্প বয়সেই সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি নায়েব সুবেদার পদে রয়েছেন। সেনাবাহিনীতে থাকাকালীনই শ্যুটিং শুরু করেন সন্দীপ।
সন্দীপের বাবা শ্রমিক। সঙ্গে চাষবাসও করেন। সেনায় চাকরি পাওয়ার পর থেকে সন্দীপই কাঁধে তুলে নিয়েছেন সংসারের ভার। ভাই বাইক মেকানিক। ২০১৯ সালে সন্দীপের বিরুদ্ধে ডোপিংয়ের অভিযোগ ওঠে। সাময়িক বরখাস্ত করা হয় তাঁকে। হতাশায় ভেঙে পড়েন সন্দীপ। মনে হয়, সব স্বপ্ন বুঝি শেষ হয়ে গেল।
advertisement
আরও পড়ুন: দাউ দাউ করে জ্বলছে! কালো ধোঁওয়ায় ঢাকল ধাপার মাঠ, ঘটনাস্থলে ২০টি দমকল ইঞ্জিন, কীভাবে লাগল আগুন?
ডোপিংয়ের অভিযোগে সন্দীপের শুনানি শুরু হয়। কিন্তু সেই সময়ই এল কোভিড। শুনানি স্থগিত হয়। হতাশা ঘিরে ধরে সন্দীপকে। অবশেষে দুই বছর পর সমস্ত কলঙ্ক থেকে মুক্ত হন সন্দীপ। শিখ লাইট ইনফ্র্যান্টিতে ফেরত পাঠানো হয় তাঁকে। ২০২১ সালে সন্দীপকে পাঠানো হয় সিয়াচেন।
—- Polls module would be displayed here —-
এরপর উত্তর প্রদেশের ফতেহগড়ে পোস্টিং হয় সন্দীপের। সেখানে তিনি রাইফেল শ্যুটিংয়ে নিয়োগ হওয়া নতুন ছেলেদের প্রশিক্ষণ দেন। এখন থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি সন্দীপকে। সেনা কর্তাদের তিনি বলেছিলেন, “২০২৩-এর দুটি ট্রায়ালে যোগ দেওয়ার অনুমতি দিন। যদি ব্যর্থ হই, শ্যুটিং ছেড়ে দেব”।
দুটি ট্রায়ালেই অনবদ্য ফল করেন সন্দীপ। শুধু তাই নয়, কুমার সুরেন্দ্র সিং প্রতিযোগিতায় গোল্ড মেডেল জেতেন। এরপর ২০২৩ ন্যাশনাল গেমসে অংশ নেন। সেখানে জেতেন রৌপ্য পদক। এরপর এএমইউ থেকে ডাক আসে। শুরু হয় স্বপ্নপূরণের লড়াই।
প্রাক্তন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান রুদ্রাক্ষ প্যাটিলকে চারটি অলিম্পিক ট্রায়ালে পরাজিত করেছেন সন্দীপ। এবছ্র প্যারিস অলিম্পিকে ১০ মিটার এয়ার রাইফেল শ্যুটিংয়ে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন তিনি। যাই হয়ে যাক, দেশের জন্য পদক জিততেই হবে। মনে মনে এখন শুধু এই মন্ত্রই জপছেন ফরিদকোটের সন্দীপ সিং।