এ যেন এক হার না মানার গল্প ! হাতে পায়ে ফুটবল নিয়ে নাচিয়ে সংসার সামলাচ্ছেন নদীয়া মাজদিয়ার ছেলে অমিত বিশ্বাস। নদিয়ার মাজদিয়ার বাসিন্দা অমিত বিশ্বাস বছর পঁচিশের অমিত বিশেষভাবে সক্ষম। জন্ম থেকেই কানে শুনতে পান না। মুখে কথা বলতে পারেন না। তাঁর হাঁটাচলা অঙ্গভঙ্গির মধ্যেও রয়েছে অস্বাভাবিকতা। তবে একবার ফুটবল পায়ে পড়লে গোটা দিন সেই ফুটবলকে পায়ে নিয়ে নাচাতে পারেন। তাঁর এই প্রতিভা এখন রোজগারের পথ। জাগলিং দেখিয়েই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিশেষভাবে সক্ষম অমিত।
advertisement
আরও পড়ুন- পাকিস্তানের ষড়যন্ত্র! কোহলির ১০০ আটকাতে ‘ফাঁদ’ পেতেছিল পাকিস্তান! বিস্ফোরক অভিযোগ
অমিত যেখানেই যান, সঙ্গে যান তাঁর মা। ছোট থেকে পড়াশোনা সেভাবে হয়ে ওঠেনি। বাবা একজন তাঁতি ! দুই বোন, এক ভাইকে নিয়ে অভাবের সংসার। সেই অভাবের সংসারেই হাল ধরেছে এবার বিশেষভাবে সক্ষম ছেলে।
ছোট থেকে তাঁর স্বপ্ন ছিল ফুটবলার হওয়ার। তবে ভাল কোথাও প্রশিক্ষণ নিতে পারেনি টাকার অভাবে। কিন্তু একবার ফুটবল পায়ে পেলে সারাদিন ফুটবল নিয়েই কেটে যায় তাঁর। ফুটবলের নানা রকমের খেলা দেখাতে পারেন অমিত। তাঁর যখন ১৫ বছর বয়স তখনই ফুটবলের জাগলিং দেখানো শুরু করেন।
আরও পড়ুন- IND vs NZ: নিউজিল্যান্ড ম্যাচের আগে খারাপ খবর! অসুস্থ টিম ইন্ডিয়ার তারকা ব্যাটার!
প্রথমে একটা দুটো জায়গা থেকে ডাক আসত। এখন বিভিন্ন জেলা থেকে তাঁর ডাক আসে। সেখানে গিয়ে জাগলিং দেখান। সেই জাগলিং দেখেই যা দু পয়সা আয় হয়। তা পুরোটাই নিজের পরিবারের হাতে তুলে দেন অমিত।
অমিতের মা সুলতা বিশ্বাস জানান, অভাবের কারণে তাঁরা ছেলেকে নিয়ে এগোতে পারেননি। তবে তাঁদের ছেলে নিজের প্রতিভার জোরে এগিয়ে চলেছে। নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, হাওড়া-সহ বিভিন্ন জেলায় তাঁর এখন ডাক আসে।
কোন্নগরের ফুটবল উদ্যোক্তা সঞ্জয় হালদার বলেন, এই ধরনের প্রতিভাবান ছেলেদের আরও বেশি করে সুযোগ দেওয়া উচিত। বিশেষভাবে সক্ষম হয়েও অমিত কোনওদিক থেকেই কারও থেকে পিছিয়ে নেই।
রাহী হালদার





