চোট কাটিয়ে দলে ফিরে আসা হিলি অসহায়ভাবে দেখলেন, কীভাবে জেমাইমা রডরিগেজের অপরাজিত ১২৭ এবং হরমনপ্রীত কৌরের ৮৯ রানের ইনিংস ভারতকে ৩৩৯ রানের লক্ষ্যমাত্রার কাছে পৌঁছে দিল! হিলি ম্যাচ শেষে বলেন, “পুরো টুর্নামেন্টে সবাই দারুণ অবদান রেখেছে, তাই এখন এখানে দাঁড়িয়ে থাকা সত্যিই হতাশাজনক। আমরা সুযোগ তৈরি করেছিলাম, চাপ সৃষ্টি িকরেছিলাম। কিন্তু সেগুলো কাজে লাগাতে পারিনি।”
advertisement
ফিবি লিচফিল্ডের ১১৯ রান ও এলিস পেরির ৭৭ রানের ইনিংস অস্ট্রেলিয়াকে ৩৩৮ রানে পৌঁছে দেয়, যা দেখে মনে হচ্ছিল তারা সহজেই ফাইনালে যাবে। কিন্তু রডরিগেজ যখন ৮২ রানে ছিলেন, তখন হিলির একটি সহজ ক্যাচ ফসকে যায়, সেটিই যা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। ম্যাচ শেষে যখন তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়, তিনি কি পরবর্তী ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত খেলতে চান, তখন ৩৫ বছর বয়সী হিলি হেসে বলেন, “আমি তখন থাকব না। খেলার সৌন্দর্য এখানেই, নতুনদের দেখা যাবে। আগামী বছর মাঝামাঝি একটা টি২০ বিশ্বকাপ আছে, যা আমাদের দলের জন্য দারুণ রোমাঞ্চকর। তবে আমাদের ওয়ানডে ক্রিকেটে কিছু পরিবর্তন আসবেই।”
এই মন্তব্য কার্যত তাঁর এক উজ্জ্বল ওয়ানডে কেরিয়ারের সমাপ্তি নির্দেশ করে। ১২৩ ম্যাচে ৩,৫৬৩ রান, গড় ৩৫.৯৮, ৭টি শতরান ও ১৮টি অর্ধশতরান, প্রায় ১০০ স্ট্রাইক রেট, সব মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সেরা ব্যাটার হিসেবে তিনি বিদায় নিচ্ছেন। চলতি বিশ্বকাপেও ৫ ম্যাচে ২৯৯ রান (গড় ৭৪.৭৫) করে তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন।
আরও পড়ুন- হোবার্টে জয়ে ফিরতে হলে ভারতকে ঠিক করতে হবে ৩টি ভুল! না শোধরালেই বিপদ!
তবে হিলির বক্তব্যে ছিল ভবিষ্যতের প্রতি আশাবাদের সুরও। তিনি বলেন,“আমাদের মতো বয়স্ক খেলোয়াড়দের বিদায় নিতে দেখা একটু অদ্ভুত অনুভূতি, কিন্তু পরের প্রজন্মের খেলোয়াড়দের উঠে আসা দারুণ ব্যাপার। ফিবি আজ অসাধারণ খেলেছে, দলকে দারুণ শুরু এনে দিয়েছে। আগামী চার বছর খুব উত্তেজনাপূর্ণ হবে।”
