মহম্মদ সিরাজের প্রশংসায় উচ্ছ্বসিত সচিন তেন্ডুলকর। ২৭ বছর বয়সি পেসারটি সম্পর্কে এক শোয়ে মাস্টার ব্লাস্টার বলেছেন, সহজে ক্লান্ত হয় না সিরাজ। রান-আপে সবসময় এনার্জিতে ভরপুর থাকে। ওকে দেখলে বোঝাই যায় না যে, দিনের প্রথম ওভার করছে, নাকি শেষ ওভার। সারাক্ষণই সেরাটা উজাড় করে দেয়। ব্যাটসম্যানকে অনবরত কড়া পরীক্ষায় ফেলে।
advertisement
ও একজন সত্যিকারের জোরে বোলার। শরীরী ভাষা সবসময় ইতিবাচক। এটাই আমার সবচেয়ে ভাল লাগে। শুধু তাই নয়, ও খুব দ্রুত শিখতেও পারে। এখনও পর্যন্ত ১০টি টেস্ট খেলে ৩৩ উইকেট(33 wickets 10 Test Matches) নিয়েছেন সিরাজ। টেস্ট অভিষেক হয়েছিল গত বছর মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। সেই টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। সিডনিতে পরের টেস্টে নেন দুই উইকেট। আর ব্রিসবেনে সিরিজের শেষ টেস্টে তিনিই ছিলেন দলের প্রধান বোলার।
দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়ে ভারতের টেস্ট তথা সিরিজ জয়ের পথ গড়ে দিয়েছিলেন সিরাজ। গত আগস্টে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে উভয় ইনিংসেই চার উইকেট নেন তিনি। নজর কাড়েন নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক মুম্বই টেস্টেও। শচীন জানিয়েছেন, সিরাজ প্রতিনিয়ত ধার বাড়াচ্ছেন বোলিংয়ে।
তাঁর মতে, গতবছর যখন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মেলবোর্নে টেস্ট অভিষেক হল, তখন মনেই হয়নি যে প্রথম ম্যাচ খেলছে। এতটাই পরিণত দেখিয়েছিল ওকে। দারুণ সব স্পেল উপহার দিয়েছিল। আর ফিরে তাকাতে হয়নি। প্রতি ম্যাচেই ওকে দেখে মনে হচ্ছে, নিজের বোলিংয়ে নতুন মাত্রা যোগ করে খেলতে নেমেছে।
সচিন মনে করেন একটা সময় তারা যখন ক্রিকেট খেলেছেন তখন কিছুটা কপিল দেবের শেষদিক, জাভাগাল শ্রীনাথ, প্রসাদ, অজিত আগারকার ছাড়া ধারাবাহিক ফাস্ট বলার ছিল না ভারতীয় দলে। শেষদিকে জাহির খান এবং আশিস নেহরা নাম করেছিলেন। কিন্তু বর্তমান ভারতীয় ক্রিকেটের ফাস্ট বোলারের অভাব নেই।
শামি, বুমরাহ, উমেশ, ইশান্ত, সিরাজ, সাইনি, প্রসিধ, তালিকা বেশ দীর্ঘ। দলে জায়গা পাওয়ার জন্য লড়াই আছে। এটাই উন্নত করেছে ভারতীয় ফাস্ট বোলিংকে। তার মতে সিরাজ লম্বা রেসের ঘোড়া। চোট না পেলে দীর্ঘদিন ভারতীয় ক্রিকেটের সেবা করবে।