তবেই পরিষ্কার হবে আসল ছবি। সেটা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় করবেন কিনা সময় বলবে। কিন্তু আর এক প্রাক্তন কিংবদন্তি এরাপল্লি প্রসন্ন (Erapalli Prasanna on Virat Kohli) বিরাট কোহলির কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে অতীতে সমালোচনা করেছিলেন। এখনো করছেন। একদিনের ক্রিকেটে নেতৃত্ব হারানোর পর প্রথম সাংবাদিক বৈঠক। স্বাভাবিকভাবেই বুধবার বিরাট কোহলির প্রতিক্রিয়ার দিকে চাতক পাখির মতো তাকিয়ে ছিল গোটা ক্রিকেট বিশ্ব।
advertisement
ভিকেও হতাশ করেননি। বির্তকের আগুনে ঘি ঢেলে তিনি সাফ জানান, নেতৃত্ব হারানোর প্রসঙ্গে কিছুই জানতেন না। এরপর অনেকেই বিরাটের হয়ে ব্যাট ধরেছেন। আবার কারও কারও মতে, নিজের ভুলেই নেতৃত্ব হারিয়েছেন ভিকে। অনেকেই তাঁর ঔদ্ধত্য এবং সতীর্থদের প্রতি অবিচারকেই এর কারণ হিসেবে দেখছেন। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের প্রসঙ্গে টেনে নেতা বিরাটকে একহাত নিলেন কিংবদন্তি অফ স্পিনার এরাপল্লি প্রসন্ন।
তাঁর মতে, টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম দু’টি ম্যাচে (পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড) অশ্বিনকে প্রথম একাদশে রাখেনি কোহলি। এই ঐতিহাসিক ভুল মেনে নেওয়া যায় না। পাশাপাশি গত কয়েকদিন ভারতীয় ক্রিকেটে যে টালমাটাল চলছে তাতেও বেশ বিরক্ত প্রসন্ন। এই প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, বর্তমানে নেতৃত্ব নিয়ে যা হচ্ছে তা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক।
গত কয়েক বছরে এরকম হয়নি। তবে হঠাৎই নেতৃত্ব বদল হতেই বিরাট ও রোহিত শর্মার মধ্যে মতান্তর শুরু হয়। যা ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য স্বাস্থ্যকর নয়। প্রথমেই বলি, অশ্বিনের উপর ওর অবিচারের কথা। গত এক দশকে দেশের এক নম্বর স্পিনার ও। ১১ বছরের টেস্ট কেরিয়ারে পেয়েছে ৪২৭ উইকেট। পাশাপাশি সাদা বলের ক্রিকেটেও অশ্বিনের অবদান অপরিহার্য। অথচ গত চার বছর ওকে সীমিত ওভারের ফরম্যাটে সুযোগই দেওয়া হয়নি।
দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে শুধু অধিনায়ককে দোষ দেওয়া ঠিক নয়। সেখানে কোচ ও নির্বাচকদেরও ভূমিকা থাকে। তবে প্রথম একাদশ চয়নের ক্ষেত্রে ক্যাপ্টেনের ভূমিকা অনেকটাই। সেখানে টি-২০ বিশ্বকাপে প্রথম দু’টি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে অশ্বিনকে দলে রাখা হয়নি। ফল কী হয়েছে তা সবাই জানেন। বিশ্বকাপের পরবর্তী তিনটি ম্যাচে ওর পারফরম্যান্সই তা বলে দিয়েছে।
শুধু প্রসন্ন নন, ভারতের কিংবদন্তি উইকেট-রক্ষক ফারুক ইঞ্জিনিয়ার পর্যন্ত অতীতে বিরাটের বিভিন্ন কাজে সমালোচনা করেছিলেন। ভারতের নির্বাচকরা বিরাটের স্ত্রী অনুষ্কার চা বয়ে নিয়ে আসে বলে বিতর্ক উস্কে দিয়েছিলেন তিনি। বিরাট বড় ব্যাটসম্যান হলেও, দল চাপে পড়লে অধিনায়ক হিসেবে ম্যাচ বের করার ক্ষমতা নেই বলেছিলেন প্রাক্তন ইংলিশ স্পিনার মন্টি পানেসার।
এছাড়া স্বয়ং কপিল দেব টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হারের পর বিরাটের ব্যাখ্যা নিয়ে প্রবল সমালোচনা করেন। যেখানে অধিনায়ক হিসেবে নিজের ক্রিকেটারদের বিরাটের বাঁচানোর কথা, সেখানে তারা যথেষ্ট সাহসী নয় বলে মন্তব্য করেছিলেন ভারত অধিনায়ক। তার উপর আইসিসি ট্রফি না জেতার পরিসংখ্যান তো আছেই।