এদিন শুরুতে জঘন্য ফিল্ডিং এবং পরে আরসিবি-র রান তাড়া করতে নেমে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারানোর খেসারত দিয়ে ইতিহাস বদলে ফেলল৷ এদিন সিএসকে-র হয়ে ওপেনার রচিন রবীন্দ্র ৩১ বলে ৪১ রান করেন৷ তিনি পাঁচটি চার মারেন৷ কিন্তু তিনি ছাড়া ফ্লপ টপ ও মিডল অর্ডার৷ রাহুল ত্রিপাঠী, রতুরাজ গায়কোয়াড়, দীপক হুডা, স্যাম কারান, কেউই দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি৷
advertisement
শিভম দুবে, রবীন্দ্র জাদেজা একটা চেষ্টা করেছিলেন ৭ ডাউন নেমে ধোনি হালকা চালিয়ে খেললেও তা দলকে জেতানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না৷ ১৬ বলে ৩০ রান করেন তিনি, তাঁর ইনিংসে ছিল ৩ টি চার ও ২ টি ছক্কা৷ অর্থাৎ একটি ছক্কা মারলে ধোনি আরসিবি-র বিরুদ্ধে পঞ্চাশটি ছক্কার নজির করবেন৷ যা আইপিএলের ইতিহাসে কোনও একটা ফ্রাঞ্চাইজির বিরুদ্ধে করা মোট ছক্কার নজির গড়বেন৷
২০ ওভারে ৮ উইকেটে তাই ১৪৬ রানই করতে পারে সিএসকে৷ এদিনের জয়ের ফলে আরসিবি আইপিএল ২০২৫ টেবলে এক নম্বর জায়গা ছিনিয়ে নিল আরসিবি৷ জস হেজেলউড এদিন ৩ উইকেট নিয়ে সিএসকেকে বড় ধাক্কা দেন৷
এদিকে টসে জিতে প্রথমে বেঙ্গালুরুকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল ঋতুরাজের চেন্নাই। বলেছিলেন মাঠে আরও আগ্রাসী হতে চাই। কিন্তু, শুরু থেকেই আগ্রাসী দেখাল বেঙ্গালুরুকে। প্রথম ওভারেই খলিল আহমেদের বলে দুটি চার মারেন প্রাক্তন নাইট তারকা ফিল সল্ট। সল্টের ব্যাটিং থেকে রেহাই পেলেন না রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এক ওভারে তিনি দিয়ে বসলেন ১৬ রান। কিন্তু, উইকেটের পিছনে ছিলেন ধোনি নুরের বল ফসকানো মাত্রই বিদ্যুৎগতিতে উইকেট ভেঙে দেন মাহি। ৩২ রানে ফিরে যান সল্ট। ভাল খেললেও ঋতুরাজের বলে ফিরে যান পাড়িক্কলও জাদেজার বল তুলে মেরেছিলেন পাতিদার। লোপ্পা ক্যাচ ফস্কান হুডা। সুন্দর শুরু করলেও বড় রান করতে পারলেন না কোহলি। নুরের বলে রাচিন রবীন্দ্রের হাতে ধরা দেন তিনি।
একেবারে শেষে অর্থাৎ ১৯তম ওভারে পাথিরানা দিয়েছিলেন ১রান। ২০তম ওভারে কারেনের বলে পর পর তিনটি ছয় মারেন টিম ডেভিড। ২০ ওভার শেষে স্কোর গিয়ে দাঁড়ায় ১৯৬/৭। চেন্নাইকে বেঙ্গালুরুর লক্ষ্য দিল ১৯৭।