বর্ষাপাড়া স্টেডিয়ামে এদিন টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলা। সকাল সাড়ে আটটায় ম্যাচ শুরু হওয়ায় টসটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল দুই দলের কাছেই। কারণ শিশির ফ্যাক্টর। টসে জিতে ফিল্ডিং নেওয়ায় কিছুটা অ্যাডভান্টেজ পায় বাংলা। কুড়ি ওভারে মাত্র ১১৮ রান তুলতে সক্ষম হয় ছত্তিশগড়। ওপেনার অখিল ৭৩ আর শেষদিকে অলরাউন্ডার অজয় মণ্ডল ২৫ রান করে ছত্তিশগড়ের ইনিংসের মান বাঁচান।
advertisement
আরও পড়ুন- কোহলির জায়গায় ভারতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে কাকে চান হেড কোচ দ্রাবিড় ?
এই দুই ব্যাটার ছাড়া আর কোনও ক্রিকেটারই দুই অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি। বাংলার হয়ে সফল বোলারদের তালিকায় রয়েছেন মুকেশ কুমার। ২ উইকেট পান তিনি। আইপিএলে বিরাট কোহলির সতীর্থ শাহবাজ আহমেদ ৩ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে এক উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়, আকাশদীপ, করণলাল।
এদিন বাংলা দলে অভিষেক হয় অলরাউন্ডার করণলালের। ম্যাচের শুরুতেই কোচ অরুণলাল করণের হাতে বাংলা দলের ক্যাপ তুলে দেন। এক উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি অভিষেক হওয়া করণলাল তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ১১ রান করেন। ১১৮ রান তাড়া করতে নেমে ১৩ বলে ১৭ রান করে ওপেনার অভিষেক দাস প্যাভিলিয়নে ফিরে যান।
আরও পড়ুন- আফগানদের হারিয়ে উন্নতি হয়েছে নেট রান রেটে, বিরাটদের সেমিফাইনালে ওঠার অঙ্ক কী ?
অভিষেক, করণলাল ফিরে যাওয়ার পর বাংলার ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন সুদীপ ও ঋদ্ধিমান সাহা। লো স্কোরিং ম্যাচে দলকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয় সুদীপ ঋদ্ধি-জুটি। ঋদ্ধিমান সাহা ২২ বলে ২৪ রান করে রবি কিরণের বলে ক্যাচ আউট হন। শেষদিকে কাইফ আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে ১৮ বল বাকি থাকতে জয় তুলে নেন সুদীপ। ৪৬ বলে ৫১ রান করে অপরাজিত থাকেন বাংলার অধিনায়ক। ১২ রানে অপরাজিত থাকেন কাইফ।
এই জয়ের ফলে ৪ পয়েন্ট পেল বাংলা দল। প্রথম ম্যাচ জয়ের পর এবার বাংলার সামনে আগামীকাল বরোদা। গ্রুপ বি তে রয়েছে বাংলা। শনিবার বাংলা সামনে শক্তিশালী মুম্বই। পরপর তিনদিন ম্যাচ খেলতে হলেও খুব একটা চিন্তিত নন কোচ অরুণলাল। মুম্বই ছাড়াও এই গ্রুপে শক্তিশালী কর্ণাটক রয়েছে। তরুণ দল নিয়ে মুস্তাক আলি খেলতে যাওয়া বাংলা দলের টার্গেট নকআউটে পৌঁছানো।