পরের ম্যাচেই নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরেছিল ভারত। আর এতেই বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ে যাওয়া নিশ্চিত হয়ে যায় ভারতের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (T20 World Cup) শেষ হয়েছে এক মাস হয়ে গেছে। আফগানিস্তান বাদে অন্য দলগুলো এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট তো মহাসমারোহেই চলছে।
advertisement
কিন্তু বিশ্বকাপ নিয়ে আলোচনা থামেনি এখনো। ফেবারিট হিসেবে বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েও ভারত সেমিফাইনালে উঠতে পারেনি। এর পেছনে অনেক ব্যাখ্যাই দেওয়া হয়েছে। কেউ বিরাট কোহলির অধিনায়কত্ব থেকে সরে যাওয়ার আগাম ঘোষণাকে দায়ী করেন। কেউ বা কোহলি ও বোর্ডের মধ্যে দ্বন্দ্বকেও কারণ দেখিয়েছেন। তবে ভারত দল দীর্ঘদিন জৈব সুরক্ষাবলয়ে থাকার কথা বলেছে।
ওয়াসিম আক্রম অন্য এক দিক থেকে চিন্তা করতে বলছেন ভারতকে। বহুদিন ধরেই বাইরে খেলার সুযোগ পান না ভারতের ক্রিকেটাররা। সবেধন নীলমণি বলতে শুধু কালেভদ্রে কাউন্টি ক্রিকেটে দেখা যায় কয়েকজনকে। কিন্তু টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট, অর্থাৎ ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে দেশের বাইরে যাওয়ার সুযোগ মেলে না কোহলি-রোহিত-রাহুলদের। আক্রম এ নিয়ম বদলাতে বলছেন।
ওয়াসিম অক্রমের ধারণা, এ কারণে বিভিন্ন ধরনের বোলিং সামলানোর ক্ষমতায় ঘাটতি থেকে যাচ্ছে ভারতের। প্রাক্তন কিংবদন্তি পাকিস্তান ফাস্ট বোলার বলেছেন, আপনি যখন বিভিন্ন দেশের লিগে খেলেন, একটা বা দুটোই হোক, আমি বলছি না সব লিগ খেলতে হবে, এতে আপনার খেলোয়াড়ের অন্য বোলারদের বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা হবে। ভিন্ন উইকেট, ভিন্ন দল, ভিন্ন কন্ডিশনে খেলার অভ্যাস হবে।
স্পোর্টস থ্রি সিক্সটি’র সঙ্গে কথোপকথনে আক্রম তাই বলছেন, ভারতকে তাদের নিয়ম নিয়ে নতুন করে ভাবতে। আমার ধারণা, ভারতের আবার ভাবা দরকার। আইপিএল বিশ্বের ১ নম্বর লিগ, অর্থের দিক থেকে, প্রতিভার দিক থেকে; সেটা ঠিক আছে। কিন্তু ওদের উচিত বিশ্বের অন্য এক বা দুটি লিগেও খেলোয়াড়দের যাওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত।
এর ফলে আন্তর্জাতিক মানের বেশ কিছু তরুণ যারা হয়তো আইপিএলের ডাক পান না, কাদের বিরুদ্ধে খেলার শুরু হবে। তবে এটা তার একান্তই ব্যক্তিগত মতামত বলে জানিয়েছেন সুইংয়ের সুলতান।