#জোহানেসবার্গ: হাতে আর মাত্র চারটি দিন। তারপরেই শুরু হয়ে যাবে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম টেস্ট। সেঞ্চুরিয়ান এমন একটা মাঠ যেখানে ব্যাটসম্যান এবং বোলার উভয় পক্ষ পিচ থেকে কিছুটা সুবিধা পেয়ে থাকে। এক কথায় যাকে বলে স্পোর্টিং উইকেট। প্রথম দেড় দিন ফাস্ট বোলারদের স্বর্গরাজ্য হলেও, দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনের পর থেকে সুবিধা পায় ব্যাটসম্যানরা। অতীতের রেকর্ড তাই বলে।
অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের মাটি থেকে টেস্ট সিরিজ জিতলেও, দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে সিরিজ জয়ের নজির নেই ভারতের। কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকার মনে করেন ভারতীয় দলের সামনে এবার সুবর্ণ সুযোগ আছে দক্ষিণ আফ্রিকায় নতুন রেকর্ড স্পর্শ করার। প্রথম কারণ ডেল স্টেইন বা মর্নী মর্কেল আর নেই। এই দুজন ফাস্ট বোলার ভারতকে প্রচুর ঝামেলায় ফেলেছে অতীতে।
যদিও রাবাডা এবং নখিয়া যথেষ্ট বিধ্বংসী বোলার, তবুও অতীতের দক্ষিণ আফ্রিকান ফাস্ট বোলারদের তুলনায় কম ভয়ংকর। দ্বিতীয় কারণ এবি ডি ভিলিয়ার্স এবং ফাফ ডু প্লেসির না থাকা। এই দুজন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান টেস্ট ক্রিকেট থেকে সন্ন্যাস নিয়েছেন। ডিভিলিয়ার্স সবরকম ফরম্যাট ছেড়ে দিয়েছেন। ফাফ সাদা বলের ক্রিকেট চালিয়ে যাচ্ছেন।
গাভাসকার মনে করেন এই দুজন ব্যাটসম্যান ভারতীয় বোলারদের বিরুদ্ধে যতটা খেলার অভিজ্ঞতা রাখতেন, সেটা এই মুহূর্তে বর্তমান দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট দলের অন্য কারো নেই। অধিনায়ক এলগার, বাভূমা, মার্করামরা দক্ষ ব্যাটসম্যান। কিন্তু ভারতের বিরুদ্ধে খেলার অভিজ্ঞতা কম। তাছাড়া প্রথম টেস্ট খেলার পর শেষ দুটি টেস্টে পাওয়া যাবে না কুইন্টন ডি কক - কে। তার স্ত্রী প্রথম সন্তানের জন্ম দেবেন ওই সময়। তাই ছুটি নিয়েছেন ডি কক।
পাশাপাশি সুনীল গাভাসকার মনে করেন অনভিজ্ঞ দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটিং লাইনআপের কাছে শামি, বুমরাহদের সামাল দেওয়া খুব সহজ হবে না। পাশাপাশি রবীন্দ্র জাদেজা না থাকায় রবি অশ্বিনকে অবশ্যই প্রথম দলে রাখা উচিত বলে মনে করেন সানি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চারটি টেস্ট ম্যাচে বিদেশের মাটিতে অশ্বিনকে খেলানোর প্রয়োজন মনে করেননি বিরাট কোহলি।
কম সমালোচনা হয়নি মিডিয়ায়। রবি শাস্ত্রী চেষ্টা করেও বিরাটকে নাকি রাজি করাতে পারেননি। ভারতীয় বোর্ড যে ব্যাপারটা সহজভাবে নিয়েছিল তা নয়। টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অশ্বিনকে দলে ফিরিয়ে বিরাটকে বার্তা দিয়েছিলেন নির্বাচকরা। রবি অশ্বিন সব সময় টেস্ট ম্যাচে একটা ফ্যাক্টর। যখন সুযোগ পেয়েছেন প্রমাণ করেছেন। উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতেও অবদান রেখেছেন।
তাছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যানরা অশ্বিনকে খুব বেশি খেলেননি। সেটা ভারতের প্লাস পয়েন্ট মনে করেন সুনীল গাভাসকার। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে তামিলনাডুর স্পিনার ব্যবধান গড়ে দিতে পারেন মনে করেন তিনি। প্রথমবার প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ জিতলে, সেই প্রাপ্তি অবশ্যই ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে নতুন পালক হিসেবে গণ্য করা হবে নিশ্চিত সানি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: IND vs SA, Sunil Gavaskar