পঞ্চায়েত অফিসে ঘুরেও মিলছে না সঠিক উত্তর। বহু পরিবার আছে যাদের মহিলারা এখনও পর্যন্ত এক টাকাও পাননি লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে। কারও কারও আবেদন পেন্ডিং দেখাচ্ছে, আবার অনেকের নাম নথিভুক্তই হয়নি বলে জানানো হচ্ছে। সরকারি খাতায় জীবিতদের তালিকায় বাদ পড়ে যাওয়া মহিলা খরিদান বিবি বলেন, “আমরা প্রতিদিন পঞ্চায়েত অফিসে যাই, কিন্তু কেউ স্পষ্ট করে জানায় না সমস্যাটা কী। কীভাবে আবেদন করব, সেটাও বোঝায় না।”
advertisement
গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে জানা যায় ২০২১ সাল থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডার পাচ্ছিল কিন্তু ২০২৪ এবং ২০২৫ সালে লক্ষীর ভান্ডার পাচ্ছে না, তার মূল কারণ ওই খরিদান বিবি নামে মহিলার মৃত্যু সার্টিফিকেট বেরোয়। তাঁদের দাবি,সরকারি অফিসে ভুলবশত ওই জীবিত মহিলাকে মৃত ব্যক্তি বলে সার্টিফিকেট দেয়। যার জন্য ওনার লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হয়েছে। প্রশাসনের কাছে দাবি করেছেন যেন তিনি আবার দ্রুত লক্ষ্মী ভান্ডার পান। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কিছু কারিগরি ত্রুটি এবং তথ্য জমা না থাকার কারণে এমন সমস্যা হয়েছে। তবে দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
সরকারি খাতায় জীবিতদের তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত ওই মহিলা। আর তা ঘিরে এগরার কাবাসগোলা এলাকায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ওই মহিলা যাতে লক্ষ্মী ভাণ্ডার সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পায় সে বিষয়ে সরব হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দা সহ রাজনৈতিক দলগুলি।
সৈকত শী





