গতবছর যারা খাস বা গোবিন্দভোগের চাষ করেছিলেন,তারা খুব ভাল দাম পেয়েছিলেন। তাই এ বছর বহু কৃষক অন্যান্য আমনধানের পরিবর্তে গোবিন্দভোগ চাষ করেছেন। ইতিমধ্যেই ধান ফলতে শুরু করেছিল। এরকম সময়ে গাছ মাটিতে নুইয়ে পড়ায় দুশ্চিন্তায় কৃষকরা।
আরও পড়ুনঃ লোকালয়ে গন্ধগোকুল উদ্ধার ঘরে শোরগোল! চিৎকার, চেঁচামেচিতে জমল ভিড়, কোথায় দেখা মিলল জানেন?
advertisement
রাজ্যের শস্য ভাণ্ডার বলা হয় পূর্ব বর্ধমান জেলাকে। রাজ্যের তো বটেই দেশের অন্যতম প্রধান ধান উৎপাদক জেলা পূর্ব বর্ধমান। এই জেলায় উৎপাদিত গোবিন্দভোগ ধান থেকে উৎপন্ন হয় সেরা মিনিকিট চাল। রাজ্যের মধ্যে এই জেলার দক্ষিণ দামোদর এলাকার রায়না, খন্ডঘোষের আলাদা বিশেষত্ব রয়েছে। এখানে প্রচুর পরিমানে গোবিন্দভোগ, বাসমতী ধানের চাষ হয়। এই ধান থেকে উৎপাদিত চালের বেশিরভাগটাই অন্য রাজ্যে ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রফতনি হয়। সেই ধান চাষ এখন সংকটের মুখে।
কৃষক সুব্রত দত্ত বলেন, খাস ধানের চাহিদা ভাল। ভাল দামও মেলে। তাতে উৎসাহিত হয়ে এখানকার চাষিদের বেশিরভাগই খাস ধানের চাষ করেছিলেন। ফলন ভাল হবে বলেই আশা করা হচ্ছিল। কিন্তু মন্থার প্রভাবে অকাল বৃষ্টি মাথায় হাত ফেলে দিয়েছে। ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিতে বেশিরভাগ জমির ধান গাছই মাটিতে নুইয়ে পড়েছে। তার ওপর দিয়ে জল বইছে। এক তৃতীয়াংশ ফলনও মিলবে না বলেই আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বেশিরভাগ চাষিই ঋন নিয়ে খাস ধানের চাষ করেছিলেন। এখন ঋন কীভাবে শোধ হবে তা বুঝে উঠতে পারছেন না চাষিরা। তাদের আশা, সরকার উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করবে। ক্ষতির পরিমাণ কতটা তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ।
পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মেহেবুব মন্ডল বলেন, বৃষ্টিতে রায়না, খন্ডঘোষের খাস ধান কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়েছে বলে খবর এসেছে। ক্ষতির বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা নিশ্চয়ই ক্ষতিপূরণ পাবেন। কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় ৪৭ হাজার হেক্টর জমিতে সুগন্ধি (খাস) ধানের চাষ হয়। তার মধ্যে দক্ষিণ দামোদর এলাকাতই ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হয়।





