আরও পড়ুন: এখনও হয়নি দুর্যোগের খেল খতম! বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টিতে ভেসে যাবে দক্ষিণবঙ্গের ৬ জেলা
প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং থেকে শুরু করে রান্না করা খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছিল বাড়িতে বাড়িতে। একই সঙ্গে প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুধুমাত্র রান্না করা খাবার নয় মেডিক্যাল টিমও ওষুধ নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছিল বাড়িতে । কোথাও হাঁটু সমান জল ও আবার কোথাও কোমর সমান জল কোথাও আবার ডিঙি ও নৌকো করে পৌঁছে যাচ্ছিল স্বাস্থ্যকর্মীরা। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরাও তৎপর হয়েছিল এই বন্যা কবলিত এলাকা ঘাটালে।প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালানো হচ্ছিল বিভিন্ন এলাকায়।
advertisement
১৭ দিন ধরে প্লাবিত হয়ে আছে ঘাটাল, ঘাটাল পুর এলাকার পাশাপাশি ঘাটাল ব্লকের বেশ কিছু গ্রাম পঞ্চায়েত এখনও পর্যন্ত জলমগ্ন। ঘাটাল পুর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে এখনও পর্যন্ত ডিঙি ও নৌকায় করে যাতায়াত করতে হচ্ছে এলাকাবাসীদের। বৃষ্টি না হলে জল যন্ত্রণা থেকে খুব দ্রুত মুক্ত পাবে ঘাটালবাসী ,জানা গিয়েছে প্রশাসন সূত্রে।
আরও পড়ুন: বন্ধুর বাড়ি আর যাওয়া হল না, রাস্তাতেই গেল প্রাণ, বাইকে পিষে গেল তরতাজা যুবক
যদিও কবে এই জল দুর্ভোগ থেকে মুক্ত পাবে ঘাটালবাসী উত্তর নেই কারও কাছে। প্রশাসন সর্বতভাবে পানীয় জল থেকে শুরু করে একাধিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ।
এই মুহূর্তে ধীর গতিতে ঘাটাল থেকে কমতে শুরু করেছে বন্যার জল , ঘাটাল চন্দ্রকোনা রাজ্য সড়কের আড়গোড়া চাতাল এলাকায় এখনো পর্যন্ত চলছে সরকারী খেয়া,এখনো পর্যন্ত যাতায়াতের ভরসা সরকারি খেয়া, এবং ব্যক্তিগত ডিঙি ও নৌকো। সব মিলিয়ে বন্যার জল দুর্ভোগে এখনও ঘাটালবাসী।