কথায় আছে শিল্প কথা বলে ঠিক তারই বাস্তব রূপ। দোকানে গিয়ে নানা ছবি বা সিনারির ফটো ফ্রেম তো খুব সহজেই সংগ্রহ করা যায় কিন্তু হাতের কাজে তৈরি ফটো ফ্রেমের আলাদায় গুরুত্ব। তাই তা কেনার আগ্রহ দ্বিগুণ। আর সেখানেই জয়জয়কার শান্তনু বাবুর। এই অভিনব উদ্যোগ এখন বাজারে চাহিদা বাড়িয়ে তুলেছে। ফলে শুধু শান্তনু বাবুই না, একাধিক পরিবারকে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন তিনি। আর এভাবেই সজীবতা লাভ করছে শিল্প। ছোট ছোট ছেড়ে যাওয়া কাঠ দিয়ে অভিনব কায়দায় তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন মূর্তি থেকে বিভিন্ন সিনারি। টুকরো টুকরো কাঠকে দিয়ে যে এত কিছু করা সম্ভব, সেই অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখাচ্ছে দাসপুরের যুবক সান্তনু আলু। শান্তনুর হাতে ফুটে উঠছে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ থেকে একাধিক মনিষীদের ছবি ফ্রেমের মধ্যেই। শুধু প্রতিকৃতিই নয়, বিভিন্ন পাখি বিভিন্ন সিনারিও ফুটে উঠছে শান্তনুর হাত দিয়ে।
advertisement
আর শান্তনুর সঙ্গে গ্রামের একাধিক মহিলারা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তাদের সংসার চলছে। বাড়ি কিংবা অফিসে এই ফটো ফ্রেম লাগিয়ে নান্দনিকতা বাড়াতে প্রচুর অর্ডারও আসছে রাজ্য ছাড়িয়ে ভিন রাজ্য থেকেও। বড় বড় হস্তশিল্প প্রদর্শনীর মেলাতেও থাকে তার স্টল। সেখানেও উপচে পড়ে ভিড়। টুকরো টুকরো কাঠকে ঘসে মেজে শৌখিন করে জায়গা মত বসিয়ে প্রথমে দৃশ্যপট ফুটিয়ে তোলা তারপর সুন্দর রঙ করে ফ্রেম বাঁধান। এ এক অনন্য সৃষ্টি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
গাছের শুকনো কিংবা কাঁচা পাতাকে কেটে কেটে দৃশ্য ফুটিয়ে তোলার মত শিল্প আমরা দেখেছি, দেখেছি চকের ওপর ঘষে কেটে অবয়ব তৈরি করার মত সুক্ষ্ম শিল্প। ঠিক তেমনই এ এক অভিনব শিল্প। কাঠের টুকরো দিয়ে তৈরি ফটো ফ্রেম। শান্তনু আলুর সৃষ্টির নেশা আজ তার পেশাতে পরিণত হয়েছে। সেই সঙ্গে নিজের কাজে সহযোগিতার জন্য কিছু পরিবারকে কাজ শিখিয়ে তাদের মধ্যেও শিল্পসত্ত্বাকে জাগিয়ে তুলেছেন। আর এই শিল্প ফুটিয়ে তুলে যৎসামান্য পারিশ্রমিক তিনি পান ঠিকই তবে শিল্পীকে মূল্য চোকান আদতেও সম্ভব নয়। তার এই অসামান্য হাতের কাজ একবাক্যে প্রশংসা দাবি রাখে।