মাদুর, বসা কিংবা শোয়ার জন্য এক দারুণ জিনিস। মাদুরকাঠি চাষ করা হয়, এরপর তাকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় বোনা হয়। বিভিন্ন আকৃতির এই মাদুর বুনে বাজারে বিক্রি করে মুনাফা অর্জন করেন কৃষকেরা। তবে বর্তমানে অন্যান্য প্লাস্টিক জিনিসের বাড়বাড়ন্তের কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে এই কুটির শিল্প। যদিও এখনও বংশপরম্পরায় টিকিয়ে রেখেছেন জেলারই প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকার বেশ কয়েকটি পরিবার। পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় ব্লকের বাখরাবাদ এবং কুশবসান গ্রাম পঞ্চায়েতের অধিকাংশ গ্রামে এখনও মাদুর বোনা হয়। বরং জেলার আরেকটি ব্লকে অর্থনৈতিক ভিত্তি নির্ভর করেছে এই মাদুর শিল্পের উপর।
advertisement
আরও পড়ুন: অধিকার মিত্রের প্রয়াস! দু’বছর পর স্কুলের গণ্ডিতে পা রাখল দুঃস্থ-দরিদ্র পরিবারের খুদে
জানা গিয়েছে, দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক গ্রামে অধিকাংশ মানুষ মাদুরকাঠির চাষ করেন প্রতিবছর। মাদুরকাঠি সময়ে কেটে এনে তাকে শুকিয়ে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় কেটে তৈরি করেন মাদুর। বাড়িতে এই মাদুর তৈরিতে পুরুষদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করেন বাড়ির মহিলারা। বাজারে বিক্রি হয় আকৃতি অনুযায়ী। দাম রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন। কোনটির দাম হাজার টাকা আবার কোনটি ২০০০ কিংবা আড়াই হাজার টাকা। তবে তথাকথিত মাদুর কেনার চাহিদা কমছে বাজারে। তবুও পেশাগতভাবে মাদুর শিল্পকে টিকিয়ে রেখেছেন এই গ্রামের মানুষ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
স্বাভাবিকভাবে জেলার শুধু সবং ব্লক নয়, সবং ব্লকের পাশাপাশি এই ব্লকেও অধিকাংশ মানুষ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। গ্রামীণ হাটে কিংবা বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরে বিক্রি করেন তাদের হাতে বানানো এই মাদুর। তাদের শিল্প নিপুণতায় ফুটে ওঠে নানা ডিজাইন। স্বাভাবিকভাবে বংশপরম্পরায় পারিবারিক এই কুটির শিল্পকে বাঁচিয়ে রেখেছে কয়েকটি গ্রামের কৃষক পরিবার।
রঞ্জন চন্দ