West Medinipur News: অধিকার মিত্রের প্রয়াস! দু'বছর পর স্কুলের গণ্ডিতে পা রাখল দুঃস্থ-দরিদ্র পরিবারের খুদে

Last Updated:

West Medinipur News: অভাব থেকে শুরু করে নানা কারণে পরিবারের লোকজনই স্কুলে পাঠায় নি! শেষমেশ অধিকার মিত্রের প্রয়াসে স্কুলে গেল খুদে

অধিকার মিত্রের সহযোগিতায় স্কুলে ভর্তি হল খুদে
অধিকার মিত্রের সহযোগিতায় স্কুলে ভর্তি হল খুদে
পশ্চিম মেদিনীপুর: বাড়িতে অভাব। নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা পরিবারে। এমত অবস্থায় ছোট্ট বাচ্চার পড়াশোনা খুব একটা সহজসাধ্য নয় পরিবারের। প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় আদিবাসী অধ্যুষিত পরিবারে শিক্ষার অভাব। বিদ্যালয়ে নানা সুযোগ সুবিধা থাকলেও, স্কুলে যেতে অনীহা পড়ুয়া থেকে অভিভাবকদের। তবে এবার স্কুলছুট সেই ক্ষুদে পড়ুয়াকে স্কুলে ভর্তি করালেন ডিস্ট্রিক্ট লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটি অধিকার মিত্র। যিনি এলাকা থেকে খোঁজখবর নিয়ে, গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় বিদ্যালয়ে গিয়ে ভর্তি করালেন ওই ক্ষুদে পড়ুয়াকে। শুধু তাই নয়, নিয়মমাফিক তার পড়াশোনার খোঁজ খবরও নেবেন তিনি। শুধু আইনি পর্যবেক্ষণ নয়, আইনি অধিকার মিত্রের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের ওড়িশা লাগোয়া দাঁতন ব্লকের ৬ নং ইসমাইলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত সাতষণ্ডা গ্রামে মামা বাড়িতে থাকা এক নাবালক পড়ুয়া স্কুলে যায় না। গ্রামবাসীদের তরফে সেই খবর পৌঁছায় ডিস্ট্রিক্ট লিগাল সার্ভিস অথরিটির অধীনে অধিকার মিত্র প্রণব আইচের কাছে। এরপর তিনি খোঁজ খবর নেন। বাড়িতেও গেছেন কয়েকবার। এরপর গ্রামবাসীদের সহযোগিতা নিয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে ওই ছোট্ট পড়ুয়াকে ভর্তি করান বিদ্যালয়ে। স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই পড়ুয়াকে তিনি ভর্তি করান।
advertisement
advertisement
শুধু তাই নয়, রাজ্য সরকারের একাধিক সরকারি প্রকল্প বাড়ির লোকেদের সামনে তিনি তুলে ধরেন। অধিকার মিত্র প্রণব আইচ বলেন, “বাড়িতে অভাব ছিল এবং নানা কারণে বাড়ির লোক স্কুলে পাঠায়নি। সেই খবর আমার কাছে আসতেই বিদ্যালয়ের সঙ্গে কথা বলে তাকে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করেছি। এছাড়াও এলাকার বেশ কিছু এমন পড়ুয়াদের খবর পেয়েছি যাদের পরবর্তীতে বিদ্যালয়ে ভর্তির ব্যবস্থা করা হবে।”
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
জানা গিয়েছে, ওই নাবালকের বাড়ি ওড়িশাতে। বেশ কয়েক বছর ধরে মামার বাড়িতেই থাকত। শুধু তাই নয় ওড়িশায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পড়ার পর প্রায় দু’বছর পড়াশোনা বন্ধ ছিল তার। তবে সোমবার, ওই নাবালককে দ্বিতীয় শ্রেণীতে ভর্তি করা হয়েছে। সাতষণ্ডা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হরিহার বেরা বলেন, “ওড়িশাতে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পড়ার পর প্রায় দু’বছর কোন পড়াশোনা করেনি। তবে সরকারি নির্দেশ মত তার বয়স প্রায় সাড়ে সাত বছর হওয়াতে দ্বিতীয় শ্রেণীতে ভর্তি করা হয়েছে। পড়াশুনার যাবতীয় সাহায্য বিদ্যালয় তরফে থাকে করা হবে।”
advertisement
রঞ্জন চন্দ
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
West Medinipur News: অধিকার মিত্রের প্রয়াস! দু'বছর পর স্কুলের গণ্ডিতে পা রাখল দুঃস্থ-দরিদ্র পরিবারের খুদে
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement