এই রেললাইনটি আদ্রা খড়গপুর ডিভিশনের অন্তর্গত। এখানে দৈনিক প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলাচল তুলনামূলক কম, মাত্র পাঁচ থেকে ছয়টি। তবে মালবাহী ট্রেনের যাতায়াত অনেক বেশি। স্থানীয়দের দাবি, প্রতি ঘণ্টায় ন্যূনতম চারবার রেলগেট বন্ধ হয়ে যায়। ফলে একবার রেলগেট পড়লেই শহরের দুই প্রান্তে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।
advertisement
এই রেল ক্রসিংয়ের একদিকে রয়েছে হাসপাতাল, স্কুল এবং আবাসিক এলাকা। অন্যদিকে রয়েছে বাসস্ট্যান্ড, বাজার, অফিস ও ব্যাঙ্ক। ফলে রেলগেট বন্ধ হলে শহরের দুই প্রান্তের মানুষই সমস্যায় পড়েন। বিশেষ করে জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে এই যানজট বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। স্থানীয়দের বক্তব্য, শহরের অন্য প্রান্ত থেকে কোন রোগী হাসপাতালে আনার সময় যদি রেলগেট বন্ধ থাকে, তাহলে দীর্ঘ সময় ধরে যানজটে আটকে পড়তে হয়। অনেক ক্ষেত্রে এই জ্যাম দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হয়। অতীতেও এমন পরিস্থিতিতে রোগী পরিবহণে চরম অসুবিধার অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুনঃ মহিলা বিচারকের অস্বাভাবিক মৃত্যু! আবাসন থেকে উদ্ধার দেহ, ঝাড়গ্রাম আদালত চত্বরে শোরগোল
পাশাপাশি ছাত্রছাত্রী, অফিসযাত্রী এবং নিত্যদিনের বাজার করতে আসা মানুষজনও নিয়মিত সমস্যার মুখে পড়েন। এছাড়া প্রতি বছর অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে রেল ক্রসিংয়ের অপর প্রান্তে একটি বড় বাজার বসে। তখন যানবাহনের চাপ আরও বেড়ে যায় এবং সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছয়। এই দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধানের দাবিতে ইতিপূর্বে চন্দ্রকোনা রোডের নাগরিকদের পক্ষ থেকে একাধিকবার রেল দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তবে তাতে স্থায়ী কোনও সমাধান মেলেনি বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার চন্দ্রকোনা রোড নাগরিকবৃন্দের পক্ষ থেকে রেল দফতরের আধিকারিকদের কাছে একটি ডেপুটেশন দেওয়া হয়। নাগরিকদের দাবি, যদি ওভারব্রিজ করা সম্ভব না হয়, তাহলে অন্তত একটি সাবওয়ে নির্মাণের মাধ্যমে যানজট কিছুটা কমানোর ব্যবস্থা করা হোক।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এতে সাধারণ মানুষের যাতায়াত অনেকটাই স্বস্তিদায়ক হবে বলে মনে করছেন তাঁরা। যদিও এই বিষয়ে রেল দফতরের আধিকারিকদের পক্ষ থেকে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে নাগরিকদের ডেপুটেশন গ্রহণ করা হয়েছে। এখন দেখার, আগামী দিনে এই গুরুত্বপূর্ণ রেল ক্রসিংয়ের যানজট সমস্যা মেটাতে রেল কর্তৃপক্ষ কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়।





